মারজানের বাবাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ পরিবারের
গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড নুরুল ইসলাম মারজানের বাবা নিজাম উদ্দিনকে (৫৫) সোমবার রাতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। সোমবার রাত ৯টার দিকে ডিবি পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারজানের চাচা রফিকুল ইসলাম।
তবে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এবং পাবনা থানার ওসি জানান, তারা মারজানের বাবাকে আটক করেননি। পাবনার ডিবিও তাকে আটক করেনি বলে পুলিশ সুপার দাবি করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মারজানের বাবা হোসিয়ারি শ্রমিক নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ছেলের দায়ভার আমি নেবো না। ছেলে এই অপকর্ম করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর সঙ্গে আর আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ও অপরাধ করে থাকলে ওর বিচার হবে পাশাপাশি যারা ওকে এই পথে নিয়ে গেছে তাদেরও আমি বিচার চাই।
তিনি বলেন, এত কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছি। সে ছেলে এই অপকর্ম করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছি না।
মারজানের প্রতিবেশী এবং চাচা-চাচিরা জানান, সে খুবই মেধাবী। ভালো রেজাল্টের জন্য সে পুরস্কারও পেয়েছে। ওর এই অপকর্মের কথা আমাদের বিশ্বাসবই হচ্ছে না।
তারা এও বলেন, ওর জন্য যেন অসহায় এবং গরিব পিতা-মাতার কোনো অসুবিধা না হয়।
তারা জানান, মারজান সর্বশেষ তার বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন, আর দেড় দুই বছর পর সে পাশ করে বের হয়ে আসবে। এরপর কয়েকদিন আগে টিভিতে মারজানের ছবি দেখে প্রতিবেশিরা। তার বাবা-মাকে জানায় মারজানের কথা। টিভিতে তাকে দেখে চিনতে পারে এই তাদের ছেলে মারজান। এরপর থেকে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মারজানের পুরো নাম নুরুল ইসলাম মারজান। পাবনা শহর থেবে ৫ কিলোমিটার দূরে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া পাটকেবাড়ি গ্রামের নাম। ৫ ছেলে ৫ মেয়ে নিজাম উদ্দিনের। ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় মারজান। পাবনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিষয়ে তিন বছর আগে ভর্তি হন মারজান। দেড় বছর আগে সে বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছুদিন বাড়িতেদ স্ত্রীকে রেখে আসা-যাওয়া করতো নিয়মিত। কিন্ত ৭/৮ মাস আগে সে স্ত্রী প্রিয়তিকে নিয়ে চলে যায় চট্টগ্রাম। এর পর থেকে বাবা-মা বা বাড়ির কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি।
একে জামান/বিএ