ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দ্বিগুণ হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিসর

প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিসর প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সোমবার বাংলা একাডেমি সভাকক্ষে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, গ্রন্থমেলাকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে যুক্ত হচ্ছে মাসব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন। মেলার ইতিহাসে এটি হবে এক মাইলফলক সংযোজন। যা মেলার কলেবর বৃদ্ধি করবে।

সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, গতবছরই গ্রন্থমেলাকে বাংলা একাডেমির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই স্থানকে আরো সম্প্রসারিত করে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। গতবছর গ্রন্থমেলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত দেরিতে নেয়ার কারণে মেলা আয়োজনে অনেক ত্রুটি-বিচ্যূতি ছিল। এবার সেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করা হবে।

বইমেলার সঙ্গে সঙ্গে পয়লা ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫ এর উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদেশী কবি-সাহিত্যিকরা এবার বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী প্রাণের মেলায় উপস্থিত থাকবেন। তাই মেলার নিরাপত্তাসহ সার্বিক আয়োজনে যেন কোন ত্রুটি-বিচ্যূতি না থাকে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

সভায় সংস্কৃতি সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন যুক্ত হওয়ায় এবারের গ্রন্থমেলা একটি অন্য মাত্রা পাবে। মেলাকে তাই সার্থক ও সফল করে তুলতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এ বছর বাংলা একাডেমি ৬০ বছরে পদার্পন করেছে। এ উপলক্ষে একাডেমি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করেছে। বাংলা একাডেমি প্রথম আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন করেছিল ১৯৭৪ সালে। সেবার ওই সম্মেলন উদ্বোধন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সঙ্গে আরো ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনসহ অনেক গুণীজন।

মহাপরিচালক আরো বলেন, এবারের সম্মেলনে ৪১ জন বিদেশী কবি-সাহিত্যিক যোগ দেবেন। তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জনের খ্যাতি জগত জুড়ে রয়েছে। বিদেশী অতিথিদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে আসবেন এ্যামিরিটাস অধ্যাপক ফ্রান্স ভট্টাচারিয়া ও তোবিয়াস বিয়ানকোন, বেলজিয়াম থেকে পল ডেটিননি, জার্মানি থেকে এইচ হারডার, লন্ডন থেকে লেখক ও উপন্যাসিক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, আমেরিকা থেকে এম সালাহউদ্দিন আইয়ুব, মালয়েশিয়া থেকে দাতো ড. আহমেদ কামাল, অধ্যাপক আরবাক বিন ওথাম, রাজা রাজেশ্বরী সীতা রামান, ড. ফজিলা হুসেইন, লিলি সিথী ও ওমর উযায়ের এবং ভারত থেকে সমরেশ মজুমদার, পবিত্র সরকার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রাতুল দেব বর্মন, কবি উপল কুমার বসু, প্রাবন্ধিক ও গবেষক স্বপন বসু, সুবোধ সরকার, উদয় নারায়ন সিংহ,সুতপা ভট্টাচার্যসহ আরো অনেকে এবং ডেনমার্ক, সুইডেন ও চীনের কবি-সাহিত্যিকগণও থাকবেন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আরো জানানো হয়, জন নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। বইমেলা চত্বরে তাদের মধ্যে পুলিশের ২টি, র‌্যাবের ১টি, আনছার বাহিনীর ১টি ও ফায়ার ব্রিগেডের ১টি কন্ট্রোল রুম থাকবে।


সংস্কৃতি সচিব ড. রনজিৎ কুমার বিশ্বাস, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ছাড়াও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ সভায় আরো বক্তৃতা করেন- সচিব আলতাফ হোসেন, মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

আরএস