ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কি এমন ভুল ছিল শারমিনের!

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

কি এমন ভুল ছিল শারমিনের! যার কারণে শরীরে ফুটন্ত গরম পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গরম খন্তি (লোহা দিয়ে তৈরি) দিয়ে দেওয়া হয়েছে পিঠে ছ্যাকা-ও। আবার এসব যন্ত্রনায় যখন সে কান্না করছিল তখন কাপড় দিয়ে তার মুখ চেপে ধরেছিল।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া পেট্রোবাংলা এলাকায় পাষণ্ড এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন গৃহকর্তী প্রিয়া আক্তার। তিনি ওই এলাকার মাহি হাউজের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম রানা।

এদিকে এ ঘটনার পর রাত আটটার দিকে শারমিন কান্না কণ্ঠে বাড়ির নিচে টিউবওয়েলে পানি নিতে আসে। এসময় এলাকার কয়েকজন কান্নার ঘটনা জানতে চাইলে শারমিন তার শরীরের ক্ষতস্থানগুলো তাদের দেখায়। নির্যাতনের ঘটনা শুনে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে রাতেই পুলিশ এসে শারমিনকে উদ্ধার করে এবং তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহকর্তী প্রিয়া আক্তারকে আটক করে।

রোববার প্রিয়া আক্তারকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বাসার কর্তা রানা এবং তার স্ত্রী প্রিয়া গৃহকর্মী শারমিনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। শারমিন গত দুই বছর ধরে এ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল। সে কুমিল্লার টমচম ব্রিজ এলাকার দরিদ্র রিপনের মেয়ে।

শারমিন জানায়, গত দুই বছর ধরেই তার ওপর নির্যাতন চালায় গৃহকর্তী প্রিয়া ও তার স্বামী রানা। সামান্য ভুল ভ্রান্তি কিংবা অমনোযোগী হলেই গরম পানি ঢেলে খন্তি ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন চালাতো তার ওপর।

আশে পাশের লোকজন এ ঘটনা দেখে অনেকবার প্রতিবাদও করেছে। কিন্তু শনিবার পুনরায় শারমিনের ওপর নির্যাতন করায় এলাকাবাসী থানায় খবর দেয় এবং পুলিশ এসে প্রিয়া আক্তারকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় শারমিনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় গিয়ে শারমিন পুলিশকে তার ওপর নির্যাতনের সব কিছু জানায়।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি টিউবওয়েলে পানি নিতে আসলে এ অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়া আক্তারকে আটক করে।  

এমএএস