লাখো মুসল্লির জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাকিদ।’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানের মতো করেই দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালন শেষে আসছে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
আর ঈদুল ফিতরের দিন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংলগ্ন বিশাল এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে দেশের প্রধান ঈদের জামায়াত।
প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট জাতীয় ঈদগাহ ময়দানটি প্রস্তুত করতে নিরন্তর কাজ করছে ৮০জন শ্রমিক। গত পাচঁ রমজান থেকে কাজ শুরু হয়ে এখনও চলছে ঈদগাহ ময়দান পরিপাটি ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। ঈদগাহ মাঠ সাজানো ও নামাজের জন্য প্রস্তুত করার দায়িত্বে আছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ প্রস্তুতির কাজ পেয়েছি।’ গত ৮-৯ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতির কাজ করে আসছে বলেও জানান তিনি।
মোজাম্মেল বলেন, ‘সম্পূর্ণ মাঠে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন উপর দিয়ে ত্রিপল টাঙ্গানোর কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য উপরে দেওয়া হচ্ছে মোটা ত্রিপলের ছাউনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।’
এ ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মাঠের বাইরের অংশে নতুন করে চুনকাম করা হয়েছে এবং মাঠের চারপাশের লোহার তৈরি বেড়াকে বড় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২৮ রমজানের মধ্যে ঈদগাহ পুরোপুরি নামাজের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মোজাম্মেল হক।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঈদগাহের সার্বিক বিষয়গুলো দেখাশুনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি ও কূটনীতিকসহ সাধারণ মানুষেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে নামাজ আদায় করবেন। আর বিশাল এ জামায়াতেরইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন।