আজকের মধ্যেই বন্দী স্থানান্তর শেষ করার আশা
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে বন্দী স্থানান্তর আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার এ দুই দিনে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি কয়েদি ও হাজতিকে স্থানান্তর করার কথা থাকলেও আজকের মধ্যেই সকল বন্দী স্থানান্তরের আশা করছেন আইজি প্রিজন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আশার কথা জানান তিনি। তিনি মনে করছেন, আজ সাড়ে ৬টার মধ্যেই বন্দী স্থানান্তর শেষ করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে নতুন কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক রয়েছে উল্লেখ করে আইজি প্রিজন বলেন, কারাগারের নির্মাণ কাজের সময় কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে পিডব্লিউডিকে আমরা বিষয়টি জানাই। তারা নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বন্দী স্থানান্তর চলছে। এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার বন্দীকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নতুন কারাগারে বন্দীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে আইজি প্রিজন বলেন, জাতিসংঘের ‘মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড প্রিজনার্স রুল’ অনুযায়ী বন্দীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল সমস্যা ছিল আবাসন। তবে এখানে তা নেই। জাতিসংঘের রুল অনুযায়ী, একজন বন্দীকে ৩৫ স্কয়ার ফিট জায়গা দেয়ার কথা রয়েছে। কেরানীগঞ্জের কারাগারে একজন বন্দী ৯০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত জায়গা পাচ্ছেন (করিডোর, টয়লেট, বারান্দা, সিড়িসহ)।
নতুন কারাগারে বন্দীদের দেখা করার জায়গা অনেক ছোট- সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, এটা সত্যি। বর্তমানে আসামিদের দেখা করার জন্য একটি দোতলা ভবন রয়েছে যাতে মাত্র ৪০ জন আসামি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তবে আগামীতে এই ভবনকে ৪ তলা করা হবে এবং পাশে আরেকটি ৪ তলা ভবন তৈরি করা হবে যাতে একবারে ৮০ জন আসামি দেখা করতে পারে।
এমইউ/এআর/এএস/এনএফ/পিআর