হজ ব্যবস্থাপনাকে বিতর্কিত করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলতি বছর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা সুচারুভাবে এগিয়ে চলেছে। একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল হজযাত্রীদের হয়রানি, অর্থ আত্মসাৎ করা, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের সুনাম নষ্টের জন্য বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজব ছড়িয়ে জাতীয় অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী জানান, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুনকে সভাপতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মীর নজরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে নয় সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুন। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ।
বজলুল হক হারুন জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদে হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়। সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকার প্যাকেজ ঘোষিত হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকারের সাথে হজ চুক্তি সম্পাদিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটা নির্ধারিত হয়।
তিনি জানান, ই-হজ সিস্টেমে ২০ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে কোটা পূরণ হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভার বন্ধ হয়ে যায়। হজযাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় হাবের অনুরোধে সার্ভার খুলে দিলে অতিরিক্ত ৪০ হাজার প্রাক-নিবন্ধন করেন।
এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি