ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জঙ্গি হামলাকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করবোই : সংসদ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৬

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আমরা শাস্তির মুখোমুখি করবোই।   

জাতীয় সংসদে বুধাবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।   

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে রয়েছে। এ কারণে হামলার নেপথ্যে দেশি-বিদেশি যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিনি আরো বলেন, এমন কাপুরুষোচিত অমানবিক হামলার ঘটনা ছিল কল্পনাতীত। যারা স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না, তারাই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি ও দেশকে বিশ্বের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করতে এসব জঙ্গি কার্যক্রম করছে।  

তবে আমরা গুলশানে হামলাকারীদের শনাক্ত ও অনেককে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এর বাইরে এসব জঙ্গি তৎপরতায় পর্দার অন্তরালে থেকে দেশি-বিদেশি মদদদাতা, পরামর্শদাতা, পরিকল্পনাকারী ও যারা অস্ত্র ও অর্থ দিচ্ছেন তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।  

গুলশানে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, হামলাকারী বেশ কয়েকজন মারা গেছে। কয়েকজন সন্দেহভাজনের ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে শনাক্তও করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করতে সবার সহযোগিতা চাই। কেউ সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে যখন দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের সামনে দেশ যখন উন্নয়নের রোলমডেল, তখনই আবারো এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞ ও শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনার কারণে বাংলাদেশকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ওইসব ঘটনা দ্রুত মোকাবেলা করে সুশাসনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি যখন উজ্জ্বল করেছি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তখনই আবার এ ঘটনা ঘটলো।

আগামী বছরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট :
সরকারি দলের সদস্য মনিরুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করা যায় ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপিত হলে নির্দিষ্ট অরবিটার স্লট ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পৌঁছতে প্রায় ২ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। সফল উৎক্ষেপণের পর স্যাটেলাইটের ইন-অরবিট টেস্ট সম্পন্ন করতে আনুমানিক তিন মাস সময় লাগবে। সম্পূর্ণ টেস্টিং মিশন শেষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পূর্ণাঙ্গভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করতে পারবে বলে আশা করা যায়।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়াবাবদ প্রদেয় বার্ষিক প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয়সহ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
এছাড়া পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু-২ ও বঙ্গবন্ধু-৩ নামক আরো দুটি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এইচএস/এএইচ/এবিএস/এমএফ

আরও পড়ুন