বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখ ৯ হাজার ৯৬৭ : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ৩১ লাখ ৯ হাজার ৯৬৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নত্তোরকালে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, এর মধ্যে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯২টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩০৩টি, এছাড়া জেলা পর্যায়ে সহকারী জজ আদালত হতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ সকল প্রকার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৮ লাখ ৯ হাজার ৪৬১টি এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে (সিএমএম/সিজেএম) আদালতসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪১১টি।
মন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ মোট ৯ জন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৯১ জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের মোট পদ ২২১টি, বর্তমানে কর্মরত ২০৬ জন, শূন্যপদ ১৫টি।
তিনি জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা/সমপর্যায়ের বিচারকদের মোট পদ ২১০টি, যার মধ্যে বর্তমানে কর্মরত ২০৯ জন, শূন্যপদ একটি।
আবার যুগ্ম-জেলা ও দায়রা/সমপর্যায়ের বিচারকের মোট পদ ৩০৪টি, বর্তমানে কর্মরত ২৮৮ জন, শূন্যপদ ১৬টি। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী সহকারী জজ/সিনিয়র সহকারী জজের মোট পদ ৩৬১টি, কর্মরত ২৯৭ জন, শূন্যপদ রয়েছে ৬৪টি।
তিনি জানান, জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট/সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদসংখ্যা ৪৭৮টি। কর্মরত ২৯৮ জন। শূন্যপদ ১৮০টি এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পদ ৫১টি হলেও বর্তমানে সেখানে কর্মরত ৪৬ জন, শূন্যপদ রয়েছে ৫টি।
তিনি বলেন, মামলারজট কমাতে বিচারক নিয়োগ, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি, প্রতিটি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন, ডিজিটাল কজলিস্ট চালু, আর্থিক অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানসহ নানাবিধ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, আশা করি দ্রুত এসব মামলার নিষ্পত্তি হবে।
এইচএস/এসকেডি/এবিএস/এমএফ