ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সকাল ১০টার বাস আড়াইটায়ও ছাড়েনি

প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৬

গত বছরের ঈদের ন্যায় এবারও কথা রাখতে পারেনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়। মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল ঈদে মহাসড়কে যানজট হবে না। কিন্তু রক্ষা হয়নি। রমজানের এই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া রাতের বাস এখনো টাঙ্গাইলে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার বাস দুপুর আড়াইটায়ও ছেড়ে যায়নি।
 
সিডিউল বিপর্যয়ে সকাল থেকেই বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের টইটম্বুর অবস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় তারা।
 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার ঘরমুখো মানুষ ভীড় করেছে রাজধানীর আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে। সময়মতো বাস না আসায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার যাত্রী।
 
এর উপর সকাল থেকেই কম বেশি বিরামহীনভাবে বৃষ্টি পড়ছে। একে তো বাস কাউন্টারে যাত্রীদের বসার জায়গা কম। তার মধ্যে বাসের সিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন।
 
সকাল ১০টার বাস ধরার জন্য আসা যাত্রীদের অনেককেই ভিজিয়ে দিয়ে গেছে বেরসিক বৃষ্টি। সব মিলে মহাবিপাকে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
 
সংশ্লিষ্টরা জানায়, রাতে গাবতলী থেকে সময় মতোই বাস ছেড়ে গেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি যানজটের কারণে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রত্যেকটি বাসের সিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে। হানিফ, শ্যামলি, এসআর, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল, ডিপজল, পাবনা এক্সপ্রেস, নাবিল, কেআর, টিআর, শাহ ফতেহআলীসহ সব বড় পরিবহনের ঈদ সার্ভিসের সিডিউলে ৩ থেকে ৫ ঘন্টার পরিবর্তন হয়েছে।

Gabtoly

শ্যামলী পরিবহনের উত্তরবঙ্গ রুটের ম্যানেজার আলমগীর কবির জাগো নিউজকে বলেন, চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আজকের প্রত্যেকটি সিডিউল বিপর্যয়। আমরা কি করবো বলেন। সময় মতো রাতে বাস আমরা ছেড়ে দিয়েছি। সে বাস এখনো টাঙ্গাইল পার হতে পারেনি। চন্দ্রা, কালিয়াকৈরে আটকে আছে। এতোক্ষণে অনেক রুটের বাস আবার ঢাকায় ফিরেও আসতো।
 
বাসগুলো ফিরতে দেরি হওয়ায় নতুন করে বাস দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু রুটে আমরা রিজার্ভে রাখা বাস সকালে ছেড়েছি। এখন কিছু করার নেই। সকাল ১০টার যাত্রী এখনো কাউন্টারে। বাস আসবে তারপর যাবে।
 
যানজটের কারণে কমপক্ষে ৫/৬ ঘন্টা করে প্রত্যেকটি রুটের বাসে সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানান তিনি।
 
দিনাজপুরগামী সালাম সরকার জানান, তিনি বাসে যাবেন। গাবতলী থেকে হানিফ বাস ছাড়ার সময় ছিল সকাল ১০টা। কিন্তু দুপুর দেড়টা অবধি বাসের কোনো খবর নেই।
 
বগুড়ার যাত্রী শাহআলম জানান, দুপুর ১২টার বাস এখনো আসেনি। অপেক্ষায় আছি। একই অভিযোগ নওগাঁর যাত্রী আবুল হোসেনের।

Gabtoly
 
হানিফ পরিবহনের সহকারি ম্যানেজার গোপাল বাবু জানান, আরিচা ফেরিঘাট, কালিয়াকৈর রোডে বাসের গতিবেগ কম। সে চাপ এসে পড়েছে সাভারে। চন্দ্রা ও টাঙ্গাইল রোডে বাজে অবস্থা। রাতের বাস ঠায় দাড়িয়ে ৭/৮ ঘন্টা। সে কারণে বাস সময় মতো আসতে পারছে না।
 
গাইবান্ধা রুটের পরিবহন আল হামরার ম্যানেজার জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তায় জটলা কমছেই না। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৩/৪ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে বাস। আমাদের রিজার্ভের বাসও নেই। অপেক্ষা ছাড়া উপায় কি বলেন!
 
এব্যাপারে এসআর ট্রাভেলসের গাবতলী শাখার ম্যানেজার মো. আমিন নবী বলেন, ‘সারা বছর যাত্রীদের নিয়েই আমাদের ব্যবসা। ইচ্ছে করে কোনো মালিক পক্ষই বাস দেরিতে ছাড়তে চায় না। রাস্তায় বাস আটকে গেলে মালিক পক্ষের কিইবা করার থাকে বলেন?’

জেইউ/এমএমজেড/এমএস