রবিউল ও সালাহউদ্দিনের রক্ত বৃথা যেতে দেব না : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নয়, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে নয়, একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে বলতে চাই আমরা এসি রবিউল ও ওসি সালাহ উদ্দিনের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
সন্ত্রাস দমনে আত্মউৎসর্গকারী সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন খানের স্মরণে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হামলাকারীদের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কারা কোন দিন মিসিং (নিখোঁজ) হয়েছে, কারা কোনদিন পোস্ট (ফেসবুক স্ট্যাটাস) দিয়েছে, কেন মিসিং (নিখোঁজ) হয়েছে, সবই আমরা খুঁজে বের করবো। আর ছাড় নয়। প্রতিটা মুহূর্ত আমাদের এখন চ্যালেঞ্জের। ঈমানি শক্তি পুলিশের অনেক প্রবল। আমরা সাহসিকতার সঙ্গে সব মোকাবেলা করবো।
কমিশনার বলেন, রবিউল তার পরিবারের এক মাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি। সালাহউদ্দিনের পরিবারেরও একই অবস্থা। এটা আমাদের ভাবতে হবে। তাদের জন্য আমাদের অনেক কিছুই করার রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সালাহউদ্দিনের তুলনা সালাহউদ্দিনই। মতো অফিসার আমি দেখিনি। সালাহউদ্দিন সব সময় পজিটিভ কথা বলতো। সবার আগে আমি গুলশানে দেখেছি। আমার পেছনে ছিল মারুফ। পাশেই ছিল সালাহউদ্দিন। দেশের কথা, জনগণের কথা দশবার চিন্তা করেছে সালাহউদ্দিন। আমরা আর সালাহউদ্দিনকে পাব না। গুলশানে সালাহউদ্দিনের মতো যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসার অন্য কেউ ছিল না।
শোক সভায় আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, সকল অতিরিক্ত কমিশনার, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগ, জোন ও থানার অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে শনিবার সকালে অপারেশন থান্ডার বোল্ট নামে সেনা কম্যান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জিম্মি সঙ্কট, জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হলেও রাতেই তারা দেশি-বিদেশি ২০ জিম্মিকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
জেইউ/এআর/আরএস/পিআর