ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ছয় হামলাকারী নিহত : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ০২ জুলাই ২০১৬

সমন্বিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ছয় সন্ত্রাসী নিহত ও একজনকে জীবিত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।

শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার লেনের দুই মহাসড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সন্ত্রাসীদের দমন ও খতম করা সম্ভব হয়েছে। সফল অপারেশনের জন্য তিনি প্যারা কমান্ডোসহ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডিসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।  

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, এশার নামাজের পর পর কিছু সন্ত্রাসী গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে ঢুকে সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের জিম্মি করে ফেলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে মুহূর্তে ঘটনা ঘটেছে, তখনই টহল পুলিশ সেখানে চলে যায়, থানা পুলিশও সেখানে চলে আসে। যখনই পুলিশ অ্যাকশনে যেতে চায়, তখন সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন এবং ৩০ জন আহত হন। পুলিশের উপস্থিতির কারণে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। তারা সেখানেই আটকা থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। সিলেট থেকে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন নিয়ে আসা হয়। সাভার থেকে কমান্ডো আসে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে কমান্ডো আসে। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ছুটে আসে।

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করার ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেনবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে অপারেশন পরিকল্পনা করতে করতে রাত ৪টা বেজে যায়।

তিনি জানান, অপারেশন সম্পন্ন করতে ১০ ঘণ্টাও সময় লাগেনি। তার আগেই সন্ত্রাসীদের ওপর আক্রমণ চালানো সম্ভব হয়। যারা জিম্মি ছিল ১৩ জনকে বাঁচাতে পেরেছি। বাকি কয়েকজনকে হয়তো বাঁচাতে পারিনি। কয়েকজনকে আহত অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযানে সন্ত্রাসীদের ছয়জন স্পটে মারা যায়। একজনকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ চাই না। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম। এটা ঘৃণিত।  

তিনি বলেন, রমজান মাসে একজন মুসলমান যখন নামাজ পড়বে, তখন তারা আজান উপেক্ষা করে মানুষ হত্যা করতে যায়, তারা কেমন মুসলমান, তারা কীভাবে ধর্মকে রক্ষা করবে। আসলে এরা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। সন্ত্রাস করাটাই ওদের ধর্ম।



এমইউ/এনএফ/আরআইপি