ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এসপি বাবুল আক্তার ডিবি কার্যালয়ে

প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, ২৪ জুন ২০১৬

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার তার স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশের সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হতে পারে। আটক নাকি জিজ্ঞাসাবাদ তা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর কাকলী এলাকা থেকে তাকে ডিবিতে নেয়া হয়। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বাবুলকে ডিবিতে নেয়া হয়েছে তার শ্বশুর বাড়ি খিলগাঁও থেকে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, “ডিএমপি সদর দফতরের পাশে পুলিশ কনভেনশন হলে একটি ইফতার পার্টিতে যোগদান করতে সন্ধ্যায় বের হয় বাবুল। শুনেছি আইজিপি তাকে ডেকেছেন। এরপর থেকে বাবুল আর বাসায় ফেরেনি।”

ডিবি পুলিশ বাবুল আক্তারকে আটক করেছে এমন খবর জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাবুল আক্তারকে ডাকলে নিজেই যেতে পারতেন, তাকে এত রাতে কেন ডিবিতে নেয়া হবে। আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে রাতেই বা কেন? সঠিক তথ্য আমি জানি না। খোঁজ নিতে হবে।”

বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আবার বাবা হয়তো কিছু বলতে পারেন।’ এরপর তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে ডিএমপির একাধিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের (উত্তর) এক কর্মকর্তা বলেন, “বাবুলকে ডিবি নিয়েছে কিনা নিশ্চিত না। তবে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকলে ডেকে নেয়া হতে পারে।” রাতেই কেন ডেকে আনতে হবে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, দেশব্যাপি শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে বেশ কয়েকজন ‘জঙ্গি সদস্য’ কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারাও যায়।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)।

তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

জেইউ/বিএ

আরও পড়ুন