১৫ চিনিকলের মধ্যে লাভজনক ১টি : আমু
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীনে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে শুধুমাত্র কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেড ছাড়া বাকি ১৪টি প্রতিষ্ঠানই লোকসানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের ওয়াসিকা আয়শা খানমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
একইসঙ্গে আখের উৎপাদন হ্রাস পাওয়া, চিনি আহরণ হার কমে যাওয়া, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, উৎপাদন উপকরণ ও যন্ত্রাংশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া ফলে এসব প্রতিষ্ঠান মুনাফা করতে পারেনি বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে আখের ক্রয়মূল্য পরিশোধ, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতিতে চিনির উৎপাদন মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের অধিকতর গ্যাপ থাকাও কারণ। আখ স্বল্পতায় কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার না হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও চিনিকলগুলো লোকসানে রয়েছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, লোকসান হওয়া চিনিকলগুলো লাভজনক করতে পাওয়ার টারবাইন, ডিজেল জেনারেটর ও বয়লার প্রতিস্থাপন প্রকল্প (জয়পুরহাট চিনিকলের বয়লার, নর্থবেঙ্গল, কুষ্টিয়া, কেরু অ্যান্ড কোং ও ফরিদপুর চিনিকলগুলোর ডিজেল জেনারেটর এবং ঝিলবাংলা ও পাবনা চিনিকলে পাওয়ার টারবাই সংযোজন) গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে কারখানার চিনি আহরণ হার বৃদ্ধি, অধিক চিনি উৎপাদন, চিনির গুণগতমান বৃদ্ধি এবং চিনিকলগুলোর আয় বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (ঈশ্বরদী) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও অধিক চিনিসমৃদ্ধ আখের উন্নতজাত পর্যায়ক্রমে চাষিদের মধ্যে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এইচএস/আরএস/এবিএস