জাসদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ মানুষ হত্যার অভিযোগ সংসদে
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিশ লাখ নেতাকর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠ, সমস্ত বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন। উনি সমস্ত বিষ খেয়ে জাসদকে সংসদে আনছেন। এখন যারা গুপ্তহত্যা করছে আমার মনে হয় ভবিষ্যতে তাদেরও না জানি আবার সংসদে আনেন।
অবশ্য সংসদে দেয়া এ বক্তব্য পরে এক্সপাঞ্জ করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন কাজী ফিরোজ রশীদ। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সংসদ টেলিভিশনে আপনাকে বেশি দেখায়। সংসদ সদস্যদের মধ্যে আমরা যারা বিরোধী দলে আছি তারা সংখ্যায় একদম কম, ৪০ জন। আমাদের দেখায় না। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) করেন।
তিনি বলেন, সমস্যা সেখানে না, সমস্যা হলো আমরা একসঙ্গে ছাত্রলীগ করেছি, যুদ্ধ করলাম। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু একই বিছানা থেকে উঠে উনি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলেন। অস্ত্র ধরার বিনিময়ে কী হলো? আমাদের গুনে গুনে বিশ লাখ মানুষকে হত্যা করলো। আজকে যে দুর্দিন-দুর্দশা, সেদিন যদি জাসদ গণবাহিনী করে নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হত্যা না করতো তাহলে দেশে দুর্দিন আসতো না। বঙ্গবন্ধুর মতো অত বড় জাতীয় নেতাকে আমরা হারাতাম না। এই যে হত্যা হলো, বিঙ্খৃলার সৃষ্টি হলো সেটার সুযোগ নিল কুচক্রী মহল।
তিনি বলেন, এজন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যথার্থ বলেছেন যে এই ইনু সাহেবরা সংসদে ঢুকে এসব করছেন।
ফিরোজ রশীদের বক্তব্য চলাকালে ডেপুটি স্পিকার বলেন, মাননীয় সদস্য, আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বাজেট আলোচনার সময় আমরা কোনো পয়েন্ট অব অর্ডার দেব না। আপনি পয়েন্ট অব অর্ডারে টেলিভিশনে চেহারা দেখানোর কথা বলতে গিয়ে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় বলেছেন; যা আমি এই সংসদের কার্যক্রম থেকে এক্সপাঞ্জ করে দিলাম।
এরপর জাসদের আরেক অংশের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে চাইলেও স্পিকার তাকে কোনো সুযোগ দেননি।
এইচএস/এনএফ/এবিএস