প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আমে বেজায় খুশি সংসদে কর্মরতরা
ভালো কিছু খেলে তার স্বাদ ভাগাভাগি করতে প্রিয়জনদের মধ্যে তা বিতরণ করেন অধিকাংশ বাঙালি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম আছে তিনি নিজে যেমন খেতে পছন্দ করেন তেমনি অন্যকেও খাওয়াতে ভালোবাসেন। সময় পেলেই তিনি গণভবনের অতিথিদের নিজের হাতে খাওয়ান। এবার ল্যাংড়া আমের স্বাদ ভাগাভাগি করতে জাতীয় সংসদের প্রায় ১২’শ কর্মকর্তাদের কাছে তা পৌঁছে দিলেন তিনি।
সংসদের বৈঠক শেষে সোমবার দুপুর তিনটায় এই আম বিতরণ শুরু হয়। জনপ্রতি দুটি আম দেয়া হলেও সেই উপহার পেয়ে বেজায় খুশি সেখানে কর্মরতরা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্যামিকেলমুক্ত আমগুলো সরবরাহ করা হয়। বিতরণের দায়িত্ব পান সংসদের চতুর্থ শ্রেণির সভাপতি আতর আলী। তিনি জাগো নিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ার শরীর। এর আগে তিনি আমাদের বেতনভাতা ও দুপুরের খাবার টাকার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। এবার শুভেচ্ছা স্বরূপ আম বিতরণ করলেন।
সংসদের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ ধরনের উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি। বাসায় এসে পরিবারের সবাইকে আমগুলো দেখানোর পর সবাই তা নেড়েচেড়ে দেখছিল। এতে ইফতারের আনন্দ অনেক বেড়ে যায়।
এর আগে ৩১ মে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা ও খাবারের বিল বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেন। অধিবেশনকালীন কর্মকর্তাদের ভাতা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা ও কর্মচারীদের ভাতা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়। অধিবেশন না থাকলে উভয়ের ভাতা ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া দুপুরের খাবারের বিল একশো টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ে মাস্টাররোলে কর্মরতদের মজুরি বৃদ্ধিসহ বছরে দু’টি উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অধিবেশন চলাকালে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের ভাতা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
এইচএস/এসএইচএস/পিআর