ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করবেন হজযাত্রীরা

প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৬

চলতি বছর হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানের কাজ জেদ্দা  বিমানবন্দরের বদলে দেশেই সম্পন্ন করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় সহজভাবে হাজিদের ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা যায়, সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সহায়তা চেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল স্বাক্ষরিত চিঠিটি আজই (সোমবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন। চলতি বছর হজ চুক্তিতে স্ব স্ব দেশে হাজিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে জেদ্দা  বিমানবন্দরে এ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনের শর্ত দেয়া হয়।

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজ নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে সরকারিভাবে নির্ধারিত ১০ হাজার হাজির কোটা পূরণ না হওয়ায় এখনও নিবন্ধন চলছে।  

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৬৮০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬ হাজার ২৯ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। মোয়াজ্জেম, হজগাইড ও মেডিকেল টিমের সদস্যসহ সর্বসাকুল্যে চলতি বছর ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের জন্য কোটা বরাদ্দ রয়েছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নিয়মানুসারে পাঁচ ফরজের এক ফরজ হজ পালন করতে প্রতি বছর সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা নগরীতে লাখ লাখ মুসলমান জমায়েত হয়। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে সৌদি সরকার প্রতি বছর জেদ্দা বিমানবন্দরে প্রত্যেক হাজির নিবন্ধন সম্পন্ন করে আসছিল।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছর জেদ্দা বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশনে হাজিদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। অপেক্ষার সময় সর্বনিম্ন দুই থেকে চৌদ্দ ঘণ্টাও লাগতো। সৌদি কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা সত্ত্বেও অতিরিক্ত চাপের কারণে সময় বেশি লাগতো। এতে করে বয়োজ্যেষ্ঠ হাজিদের ভীষণ কষ্ট হতো। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নিজ নিজ দেশে আগাম ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের নির্দেশনা দেয় সৌদি সরকার।

কি প্রক্রিয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ছাড়া হজে যাওয়া যায় না। প্রতিটি হাজি হজ অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পাসপোর্ট করেছেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে হাজিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে এই মর্মে সনদ দিলে খুব সহজেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

এমইউ/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন