মুখস্ত ও ভার্চুয়াল ফর্মুলায় প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস!
প্রকাশনা থেকে প্রিণ্ট হওয়ার আগে প্রশ্ন মুখস্ত করে ও ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের মতো ভার্চুয়াল পেইজের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। এনালগ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতি করে ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে বিক্রি করছে একটি চক্র। এসব প্রশ্নপত্র আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু না মিললেও বেশ কিছু কিছু প্রশ্ন ঠিকই মিলে যায়।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা মোড়স্থ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরে প্রধান গেইটের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম বিভাগ)।
এ সময় তাদের নিকট থেকে এইচএসসি/২০১৬ সালের পরীক্ষার রসায়ন (দ্বিতীয় পত্র), হিসাববিজ্ঞান (প্রথম পত্র), পদার্থ বিজ্ঞান (সৃজনশীল), জীববিজ্ঞান (দ্বিতীয় পত্র) ইত্যাদি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র এবং ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাইফুল ইসলাম ওরফে জুয়েল, মো. রুবেল বেপারী, আব্দুস সাত্তার, মেজবাহ আহম্মেদ, কাওছার হোসেন, মো. আল আমীন, ইকরাম হোসাইন, হৃদয় হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি’র মিডিয়া এণ্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এসবি’র ( স্পেশাল ব্রাঞ্চ) দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটিকে ধরার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে নামে। বিজি প্রেসের জনৈক কর্মচারী প্রথমে প্রশ্নপত্রগুলো মুখস্ত করে পরে জুয়েল নামক এক ব্যক্তির কাছে সেগুলো লিখে দেয়। জুয়েল তা ছাত্তারকে পৌঁছে দেয়। পরে সাত্তার নিলয় আহাম্মেদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করে।
পরে নিলয় ফেসবুক, ইমো ও হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে এগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রশ্নপ্রত্র দেওয়ার নাম করে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অংকের হাতিয়ে নেয়।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপ্রত্র অনলাইনে পোষ্ট করে এবং তার বিনিময়ে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ হতে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনসহ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে।
জেইউ/এমএমজেড/আরআইপি