ভিসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খুশি আবেদনকারীরা
ভিসা আবেদনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও বিরক্তি নেই আবেদনকারীদের। কারো সঙ্গে নেই কোন ঝামেলা, নেই দালালদের দৌরাত্ম্য। সবমিলিয়ে ভারতীয় ঈদ ভিসা ক্যাম্পে ভিসা আবেদনের সুযোগকে খুব ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটকরা।
এর আগে, গত ৪ জুন থেকে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতীয় ভিসা মেলা শুরু হয়। ঈদে ভারত ভ্রমণে সাক্ষাতের তারিখ বা ই-টোকেন ছাড়া সরাসরি হাইকমিশনে গিয়ে ভিসা আবেদনের এই সুযোগ দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুরা। তবে রোজার কারণে সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
বুধবার ৫ম দিনের মতো বারিধারার জাতিসংঘ রোডের ভারতীয় হাইকমিশনে জমা নেয়া হচ্ছে ভিসা আবেদন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল, ঢাকা ছাড়াও খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে অনেকে এসে দাঁড়িয়েছেন লাইনে। হাইকমিশন ও আশপাশের এলাকায় ভিসা আবেদনকারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
গফরগাঁও থেকে ভিসা নিতে আসা জুলহাস আহমেদ নামে এক আবেদনকারী বলেন, সবাইকে এতো সহজে ভিসা আবেদন করে দেয়ার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে খুব কৃতজ্ঞ। আগেও দু’বার ভারতের ভিসার আবেদন করেছি। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা। দালাল নেই, বিশৃঙ্খলা নেই। ফজরের নামাজের পর লাইনে দাঁড়িয়েছি। তবুও কোন ক্লান্তি নেই।
ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন করার তারিখ থেকে কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে এবং পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। এছাড়া ভিসা আবেদন গ্রহণের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের আউটসোর্সিং এজেন্সি ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ভিসা প্রসেসিং ফি ৬০০ টাকা। ভিসা প্রসেসিং ফি ছাড়া আর কোনো ভিসা ফি নেই।
এদিকে প্রতিদিনের মতো বুধবারও হাইকমিশনের বাইরে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বারিধারার পার্ক রোডের চ্যান্সেরি ফটক দিয়ে ক্যাম্প প্রবেশের পথে, মূল গেটের বাইরে ও ভেতরে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাইকমিশনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এর ভেতরে কাউকে ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে ভোগান্তি এড়াতে ৫ টাকায় নিরাপদে মোবাইল জমা রাখার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৬ জুন শেষ হবে এই ঈদ ভিসা ক্যাম্প। জামিল উদ্দিন নামে এক আবেদনকারী বলেন, এই ভিসা পদ্ধতি চালু রাখলে ভোগান্তি ছাড়াই আবেদন করা যাবে। আমাদের সবার দাবি এই ব্যবস্থা যেন সবসময় চালু রাখা হয়।
এআর/এআরএস/এবিএস