মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তার নিজেই
স্ত্রী মাহমুদা মিতু হত্যার ঘটনায় অবশেষে নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এসপি বাবুল আক্তার। এর আগে মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ত্রিরতন বাদী হয়ে মামলা দায়েরের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত বাদী হয়েছেন নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার নিজেই।
সিএমপি পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করলেও সময় দেখানো হয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টা। তবে পাঁচলাইশ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাতে ই-মেইলে মামলার এজাহার কপি থানায় আসার পর তা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৪ জনকে সোমবার রাতে ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৭ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের হলেও এতে খুনিদের চিহ্নিত করা হয়নি। মামলার বিরণীতে অজ্ঞাত নামা ৩ জন দুষ্কৃতিকারীর কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
এর আগে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়েরের বিষয়টি নিয়ে দিনভর বিভ্রান্তিতে পড়েন সংবাদকর্মীরা। অনেক সংবাদ মাধ্যম রোববার রাতে আবার কেউ কেউ সোমবার দিনে মামলা হয়েছে মর্মে খবর ছাপে। মামলার ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, বাবুল স্যারের স্ত্রী খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটি অফিসার বলেছে মামলা তখনো এন্ট্রি হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আসলে আইনগত কিছু জটিলতার কারণে আমরা মামলা দায়েরের সময়টা দুপুর সাড়ে ১২টায় উল্লেখ করেছি। প্রকৃতপক্ষে মামলা এট্রি হয়েছে রাতে।
এদিকে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের কথা জানালেও মামলার নম্বর জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। আপনি মামলা নথিভুক্তকারী মুন্সির সাথে কথা বলুন। পরে মুন্সি বাবুল মন্ডল বলেন, দুপুরে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ০১, তাং ০৬-০৭-২০১৬ ইং।
প্রসঙ্গত, রোববার (৫ জুন) সকাল পৌনে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় (ওআর নিজাম রোডে) প্রকাশ্যে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসি’র মোড়ে যাওয়ার পথে বাসা থেকে একশ গজের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জীবন মুছা/এআরএস/পিআর