ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ০৬ জুন ২০১৬

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার কাছের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ৬টা ৩২ মিনিটে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন মিতু। ভোর হওয়ায় রাস্তায় মানুষের চলাচল বেশ কম দেখা যায়। মিতু ছেলেকে নিয়ে খানিকটা হেঁটে যাওয়ার মোটামুটি এক মিনিট পর একটি মোটর সাইকেলে তিনজনকে চলে যেতে দেখা যায়।

মিতু হত্যার পর রোববারই জানা গিয়েছিল মোটর সাইকেলে তিনজন এসে তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকারীদের একজন ছিলেন মুখোশধারী।  

পুলিশ সুপারের বাসার ১৫০ থেকে ২০০ গজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবকের মধ্যে একজন মাহমুদাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, আরেকজন গুলি করে চলে যায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনো এই খুনের দায় কেউ স্বীকার করেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাবুলকে দুর্বল করতে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে।   

Futage

বাংলাদেশ পুলিশের ২৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ব্যাপক প্রশংসিত হন তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার।

এরআগে কলাবাগানে জোড়া খুনের পরও একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে কৌশলে হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার, বুদ্ধিজীবী এবং বিদেশিদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।

রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মেরাদিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয় মিতুকে।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ত্রিরতন বড়ূয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুন হওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে তাদের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। এতে পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।



এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন