শিক্ষিকা নিহতের ঘটনায় আটক ৫
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতালে নোয়াখালীর মাইজদীতে পিকেটারদের ঢিলে স্কুলশিক্ষিকা নিহতের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, ঘটনার পর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে ২০ দলীয় জোটের পাঁচ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনা মর্মান্তিক, দুঃখজনক। আমরা ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজন শিক্ষিকা জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তাকে হত্যা করা হলো। নাহিদ বলেন, ফলহীন, স্বার্থহীন হরতাল জাতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতির স্বার্থ বিপন্ন করতেই হরতাল দেওয়া হচ্ছে, আমরা এতে খুবই ক্ষুব্ধ। হরতালের নামে শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে, এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে হরতালের মতো কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে নোয়াখালীর মাইজদী পৌরবাজারে পিকেটারদের ঢিলের আঘাতে নিহত হন ঢাকার আগারগাঁওয়ের তাওহীদ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ঝর্ণা (৩৭)। হামলায় ঝর্ণার স্বামী আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজও আহত হন।
শাহজাহান সিরাজ জানান, তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতির পোড়াগাছা এলাকায়। নোয়াখালীতে বদলি হওয়ায় স্ত্রী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কভার্ড ভ্যানে মালপত্র তুলে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন। সকালে হরতালের মধ্যে মাইজদী পৌরবাজারের মোড়ে তাদের গাড়ি আক্রান্ত হয়।