ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঈদের কেনাকাটা

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

অভিজিত রায় (কৌশিক) , তৌহিদুজ্জামান তন্ময় | প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২৫ মার্চ ২০২৫

দিন কিংবা রাত। সময় পেলেই ঈদের কেনাকাটা সেরে নেওয়া যেত রাজধানীতে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমজমাট হওয়ার কথা রাজধানীর শপিংমলগুলো। অথচ ঘটছে উল্টোটা। এবার সর্বোচ্চ রাত ১০টা পর্যন্ত ঈদ মার্কেটে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় অনেকেই দিনে এবং সন্ধ্যায় কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতে কেনাকাটা করতে গেলেও সচেতন থাকা লাগছে। এছাড়া বেশি টাকা নিয়েও কেনাকাটা করতে আসছেন না বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ব্যবসার যে পরিস্থিতি সেটা তো আপনারা নিজেরাই দেখছেন। তেমন কোনো কাস্টমার নেই। মার্কেটে মানুষ খুব কম আসছে। চুরি-ছিনতাই যেভাবে বেড়েছে মানুষ ভয়ে কেনাকাটা করতে আসছে না রাতে। -বিক্রেতা

বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণ ক্রেতাদের মনে ভয়-ভীতি আছে। সাধারণত ঈদের সময় চুরি-ছিনতাই বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভালো না। চুরি-ছিনতাইতো লেগেই আছে। সবাই বাইরে বের হতে ভয় পায়। সবার মনেই আতঙ্ক রয়েছে। এমনকি আমাদের ব্যবসায়ীদের মনেও আতঙ্ক রয়েছে, মার্কেট বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে কেউ আক্রমণ করবে কি না সন্দেহ আছে।

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেট্রোলিং বৃদ্ধির পাশাপাশি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। সম্ভাব্য চুরি-ছিনতাইয়ের জায়গাগুলোতে টহল বৃদ্ধিসহ সক্রিয় ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঈদের মার্কেটে রাত ও গভীর রাতের ক্রেতারা এখনও অনেক কম। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত ক্রেতারা রাতেও মার্কেটে আসবেন।-বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন

তবে পুলিশের দাবি, বিপণিবিতানগুলো ঘিরে অপরাধ দমনে সাদা পোশাকেও কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সের সদস্যরা বিপণিবিতানগুলোয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন। টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম। অধিকাংশ দোকানে হাতে গোনা ক্রেতা থাকলেও অনেকে বিক্রেতা বসে রয়েছেন ক্রেতাদের অপেক্ষায়। বিক্রয়কর্মীরা হাঁক ডাক ছেড়ে ক্রেতা খুঁজছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের এক দোকান মালিক জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ব্যবসার যে পরিস্থিতি সেটা তো আপনারা নিজেরাই দেখছেন। তেমন কোনো কাস্টমার নেই। মার্কেটে মানুষ খুব কম আসছে। চুরি-ছিনতাই যেভাবে বেড়েছে মানুষ ভয়ে কেনাকাটা করতে আসছে না রাতে।

অর্থনৈতিকভাবে এখন খুব স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি নেই। আমরা উচ্চ মূল্যস্ফীতির বৃত্তে আছি, যে কারণে নিত্যদিনের ব্যয় মেটানো সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। ফলে অন্য বছরের তুলনায় ঈদকেন্দ্রিক ব্যয় কম হবে, সেটা অনুমান করা যায়। -সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

তিনি বলেন, কাস্টমাররা রাস্তায় বের হতে যেভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমরাও সেই একই পর্যায়ে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে সবারই একি অবস্থা হয়। শুধু আমার একার না, এদেশে মনে করেন ২০ কোটি মানুষ বাস করে, এই ২০ কোটি মানুষই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা তো সব সময় আতঙ্কেই থাকি। এক একটা দোকান ভাড়া এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এখন কাস্টমার যদি না আসে তাহলে আমরা কার কাছে বিক্রি করবো? তারপর স্টাফদের বেতন-বোনাস আছে। প্রতিদিন এক-দেড় হাজার টাকা ইফতার খরচ আছে। সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা ভালো না। অন্যান্য বছর বেচা-বিক্রি যা ছিল এতোটা খারাপ অবস্থা ছিল না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধানের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে তিনি একসময় না একসময় এই পরিস্থিতি ঠিক করবেন।

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

‘বেচাকেনা অনেক কম’

চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের এম আর কালেকশনের কর্ণধার নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদ চলে এলো কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা অনেক কম।’

বিজ্ঞাপন

বিক্রি কমার কারণ জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের মনে ভয়-ভীতি আছে। এবার পরিস্থিতি তো ভালো না। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই তো লেগেই আছে। অনেকেই বাইরে বের হতে ভয় পায়।

ঢাকা শহরের প্রতিটি মার্কেটে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। ক্রেতা, দোকানি এবং মালিক সমিতির নেতারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করেছেন। জনগণের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ডিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। -ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক

নিবেদন গার্মেন্টসের মো. হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় বেচা-বিক্রি খুবই কম। দেশের অবস্থা ভালো না, তাই কাস্টমারও মার্কেটে কম আসছে। আগের বছরগুলোতে যে পরিমাণ কাস্টমারের চাপ ছিল এখন তার তুলনায় অনেক কম।

‘রমজানের আগের বাজারই ভালো ছিল’

জননী গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী মো. তুহিন জাগো নিউজকে বলেন, বেচা-বিক্রির অবস্থা খারাপ। এখন যে বিক্রি এর চেয়ে রমজানের আগের বাজারই ভালো ছিল।

বিজ্ঞাপন

ক্রেতা কম আসার কারণ জানতে চাইলে তুহিন বলেন, দিনে কাস্টমার আসছে। তবে সন্ধ্যার পর পুরো মার্কেট নীরব হয়ে যায়। ঈদের বাজারে এমন পরিস্থিতি আগে কখনোই ছিল না।

ভয়ে আসছে না দূরের ক্রেতা

নিউ সুপার মার্কেটের হোম টেক্স এইচ আর বেডিংয়ের বিক্রয়কর্মী রাহাত জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের বেচা-কেনা আগের মতো নেই।

একই মার্কেটের ওয়েস্টার্ন ফ্যশনের বিক্রয়কর্মী মো. রবিউল ইসলাম বেচা-বিক্রি নেই জানিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, দিনে কয়েকজন কাস্টমার যাও পাই, রাতে তো কাস্টমার নেই বললেই চলে।

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

বিক্রি না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূরদূরান্ত থেকে যে কাস্টমার আসতো তারা ছিনতাই, ডাকাতির ভয়ে আসছে না। আমাদের এই মার্কেটে বাইরের লোকই বেশি আসতো। তারা ভয়-আতঙ্কের কারণেই আসতে পারছে না।

ঢাকা নিউ মার্কেটের তানভীর সুজ-এর মালিক জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, করোনার পর থেকেই সেভাবে আর বেচা-কেনা নেই। আর এই বছর একদমই মানুষ নেই মার্কেটে। প্রধানত চুরি, ছিনতাইয়ের কারণে মানুষ আসছে না। আগে রাত ১টা, ২টার পরও কাস্টমার থাকতো। আর এখন রাত ১০টার আগেই কাস্টমার থাকে না।

আতঙ্কে ক্রেতারা

নিউ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন মিজানুর রহমান। মার্কেটে আসতে ক্রেতাদের কোনো আতঙ্ক বিরাজ করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তায় বের হতে ভয় করে। আগে অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে রেস্ট নিয়ে মার্কেটে আসতাম, রাতে মার্কেট করতাম। আর এখন রাত হওয়ার আগে বাসায় ঢুকতে হয়। দিনের বেলায় মার্কেটে এলেও মেয়েদের আনতে ভয় করে। নিজে এলেও সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

শুধু মিজানুরই নয় আতঙ্কের একই কারণ জানাচ্ছেন অন্য ক্রেতারাও।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক হাজী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবার চার ভাগের এক ভাগ ব্যবসা হচ্ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এটা হয়েছে। অনেকেই কেনাকাটা করলে গিফট দিত, জাকাত দিত সেই সংখ্যাটা কমে গেছে। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক এবং ঈদের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই, দ্রুতই যেন মার্কেটমুখী হয় ক্রেতারা।

‘১০ ভাগ বিক্রিও হচ্ছে না’

মিরপুর বেনারসি পল্লির রূপ মোহিনী গ্যালারির স্বত্বাধিকারী মো. আজিজুল হক সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ভেবেছিলাম এবার ঈদে বেশি বেচাকেনা হবে। কারণ ভারত যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। কিন্তু গত ১০-১৫ বছরে ঈদে এত কম ক্রেতা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আমাদের এখানে সাধারণ সময়েই ভালো বেচাকেনা হয়। কিন্তু দুই ঈদ উপলক্ষে যেরকম বেচাকেনা হওয়ার কথা তার ১০০ ভাগের ১০ ভাগও এবার হচ্ছে না।

স্বর্ণা জামদানির বিক্রেতা মো. সবুর বলেন, ‘আমাদের বনি-বাট্টা করাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেশের পরিস্থিতির কারণে এমনটা হতে পারে যে, মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নাই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও সুবিধার না।’

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

রূপসী বেনারসির স্বত্বাধিকারী আফজাল জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই জামদানি, সিল্ক, কাতান, লিলেন ও টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ি পাওয়া যায়। এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকার শাড়িও আছে আমাদের কাছে। তবে আমাদের বেস্টসেলার হচ্ছে জামদানি। কিন্তু এবারের ঈদের বাজার খুব খারাপ। সামনে নববর্ষ। আশা করছি তখন ভালো বিক্রি হবে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের মার্কেটে রাত ও গভীর রাতের ক্রেতারা এখনও অনেক কম। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত ক্রেতারা রাতেও মার্কেটে আসবেন।

ভয় থাকলে মানুষ ভেবেচিন্তে বের হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, মানুষের যদি ভয়-সংশয় থাকে যে বের হলে চুরি-ছিনতাইয়ের শিকার হতে হবে তাহলে মানুষ ভেবেচিন্তে বের হবে এটাই স্বাভাবিক। ক্রেতার নিরাপত্তা নিয়ে নানা কেন্দ্রিক প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে তখন যেকোনো ক্রেতাই এই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের যে বিশ্বাসের জায়গা সেই জায়গায় ঘাটতি তৈরি হবে। যারা মব জাস্টিস তৈরি করছে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সেই প্রশ্ন মানুষের মনে আসবে। ঈদ উদযাপনের সঙ্গে শপিং কিংবা বাইরে ঘুরাঘুরি করতে যাওয়া থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল কাজ পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। যাতে কোনো অপরাধী সমাজে জায়গা করে না নিতে পারে।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন এবং ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেট্রোলিং বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। যে সব জায়গায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে সেই জায়গাগুলোতে টহলসহ মোবাইল টিম কাজ করলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।

অর্থনৈতিকভাবে খুব স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি নেই

ঈদের এ অর্থনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জাগো নিউজকে বলেন, অর্থনৈতিকভাবে এখন খুব স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি নেই। আমরা উচ্চ মূল্যস্ফীতির বৃত্তে আছি, যে কারণে নিত্যদিনের ব্যয় মেটানো সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। ফলে অন্য বছরের তুলনায় ঈদকেন্দ্রিক ব্যয় কম হবে, সেটা অনুমান করা যায়।

নিরাপত্তা শঙ্কায় মধ্যরাতে ক্রেতা কম

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অনেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন। এবছর ঈদে দেশ-বিদেশে ঘুরতে যাওয়া কমবে। গাড়ি-দামি আসবাবপত্র কেনার মতো ব্যয়, যা আগের ঈদগুলোতে লক্ষ্য করা যেত, সেটা হয়তো কম হবে।’

পুরো রাজধানীতেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রমজানে পুরো রাজধানীতেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিপণিবিতানগুলো ঘিরে অপরাধ দমনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। পাশাপাশি পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সের সদস্যরা বিপণিবিতানগুলোয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন। টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি মার্কেটে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। ক্রেতা, দোকানি এবং মালিক সমিতির নেতারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করেছেন। ডিএমপি থেকে যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে সে পরিকল্পনা মোতাবেক ক্রেতা, দোকানদার এবং মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করেছেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। জনগণের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ডিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি জায়গায় পুলিশের ফুট পেট্রোল রয়েছে। চেকপোস্ট, ডিবি পুলিশ এবং হোন্ডা পার্টি রয়েছে। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

টিটি/কেআর/এসএনআর/এমএমএআর/জিকেএস

বিজ্ঞাপন