ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তথ্য ফাঁস রোধে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মতামত নিচ্ছি: এনআইডি ডিজি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে আমরা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকেছি এবং তাদের মতামত নিচ্ছি। কীভাবে তথ্যগুলোকে আরও সুরক্ষিত রাখা যায় এ নিয়ে আলোচনা করেছি।’

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজদপ্তরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিজি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আগে ব্যক্তির নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এনআইডির তথ্যগুলো চলে যেত, এরপর তারা যাচাই করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য যাচাই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করে দেবো। নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর ‘ম্যাচ’ অথবা ‘নো ম্যাচের মাধ্যমে তাদের এনআইডির তথ্য যাচাই করে দেবো।’

তিনি বলেন, ‘কেউ পাঁচটি তথ্য যাচাইয়ে আমাদের সিস্টেমে অনুরোধ পাঠাবে। এগুলোর মধ্যে আমরা কোনটি ভুল কোনটি সঠিক, তা বলে দেবো। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যক্তির ছবি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যক্তির ছবিও দেখতে পাবেন। আমরা বলেছি এটা দেওয়া সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

‘বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম এটি খুঁজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি।

প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা একটি টিম করে দেবো। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। উনারা যেকোনো সময়, যেকোনো প্রতিষ্ঠান যেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’

বিজ্ঞাপন

এনআইডি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিরাপত্তা সার্টিফিকেট নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারাই এনআইডি সিস্টেম ব্যবহার করবে অথবা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, ওই সব প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আমরা নেবো। এমনকী ওইসব প্রতিষ্ঠানে পরিচালক এবং সিস্টেম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আমরা নেবো। কোন ভ্যান্ডর প্রতিষ্ঠান যেন দুর্বল সিস্টেম না চালায় এজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পরিষ্কার তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বলে দেবো কোন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিস্টেমে থাকতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঝুলে থাকা এনআইডি সংশোধন আবেদনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। তিন মাস পর আমরা আরও ভালো খবর দিতে পারবো।’

এমওএস/এমএএইচ/এএসএম

বিজ্ঞাপন