বিশেষ কম্বিং অপারেশনে ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ

মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করছে। অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করেছে। ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ ৪টি ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আইএসপিআর জানায়, মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে নিয়োজিত।
দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সব অবৈধ জাল অপসারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ ৪টি ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
বিজ্ঞাপন
আইএসপিআর আরও জানায়, এরই মধ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বহিঃনোঙর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনী জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এ সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এই অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬টি দোকান থেকে অবৈধ ৩০ লাখ ৬ শত ৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪০০ মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লাখ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭০০ টাকা।
তৃতীয় ধাপে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
টিটি/ইএ/এএসএম
বিজ্ঞাপন