ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর সদস্যরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সারাদিনের অবস্থান শেষে রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ত্যাগ করেননি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মিথ্যা অভিযোগের দায়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনরা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেও শহীদ মিনার ঘুরে তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর সদস্যরা

অবস্থান কর্মসূচিতে বিডিআর সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বসে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের বক্তব্য শুনছেন। এ সময় তারা ছয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শহীদ মিনারের একপাশে, প্রথম বেদির ওপর এবং ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ সংলগ্ন স্থানে সামিয়ানা খাটিয়ে এবং পলিথিন বিছিয়ে রাত্রিযাপন ও বিশ্রামের ব্যবস্থাও করেছেন তারা। সেখানে অনেকে বিশ্রাম করছেন। তাদের অবস্থান কর্মসূচি আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারিও চলবে।

রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর সদস্যরা

বিজ্ঞাপন

বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হলো:

১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর সদস্যরা

৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সর্বপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এমএইচএ/বিএ/এএসএম

বিজ্ঞাপন