’৮২ ব্যাচ থেকে ৫০ কর্মকর্তা ভূতাপেক্ষ সচিব, ক্ষোভ ঝাড়লেন মিলন

আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত ৭৬৪ জনকে উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১ ও সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ৫১ জনের মধ্যে ৫০ জনই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নিজের ব্যাচ ১৯৮২ -এর কর্মকর্তা বলে অভিযোগ তুলেছেন আলোচিত কর্মকর্তা মাহবুব কবির মিলন।
বিগত সরকারের আমলের বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসেবে মাহবুব কবির মিলনের নাম তালিকায় নেই। তাই ক্ষুব্ধ মিলন এ পদোন্নতি দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন সাবেক এ অতিরিক্ত সচিব।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাহবুব কবির মিলন।
- আরও পড়ুন
- বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন
- প্রশাসন ক্যাডারের ৫০, অন্য কাডারের কোটা ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের উদ্দেশে স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, স্যার, বঞ্চিতদের তালিকায় ভূতাপেক্ষ সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকায় আমার নাম নেই। ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার মধ্যে ৫১ জন ছিলেন অতিরিক্ত সচিব। আপনিও ছিলেন অতিরিক্ত সচিব, আপনাকেও ভূতাপেক্ষ সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আপনি এবং কেবিনেট সচিব স্যারসহ বর্তমান সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া প্রায় সবাই ১৯৮২ ব্যাচের।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও লিখেছেন, এই ১১৯ জন সচিব পদোন্নতির মধ্যে ৫০ জন ১৯৮২ ব্যাচের (বিশেষ ব্যাচসহ)। আমিও অতিরিক্ত সচিব ছিলাম এবং বিগত সরকার দুর্নীতি দূর করতে চেয়ে অন্যায়ভাবে চারটি শাস্তি দিয়েছিল। প্রায় দেড় বছর ওএসডি অবস্থায় রেখে চাকরি থেকে বিদায় দিয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বর্তমান সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ১১৯ জন সচিবের মধ্যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব যারা পদোন্নতি পেলেন, তারা কীভাবে কোন ক্রাইটেরিয়ায় বঞ্চিত ছিলেন? কীভাবে নিপীড়িত নির্যাতিত ছিলেন? ১১৯ জন সচিব পদোন্নতির মধ্যে ৫০ জন কীভাবে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা হলেন?
‘স্যার আপনাদের প্রকাশ করতে হবে এই ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব, যারা সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন, তাদের বঞ্চিত হবার কাহিনী। তা না হলে সব অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে ভূতাপেক্ষ সচিব পদোন্নতি দিতে হবে।’
স্ট্যাটাসে মাহবুব কবির মিলন আরও লিখেছেন, আমি মামলা করবো হাইকোর্টে, সেখানে অবশ্যই জানতে চাইবো ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবের বঞ্চনার কাহিনী এবং ১৯৮২ ব্যাচের কীভাবে ৫০ জন কর্মকর্তা বঞ্চনার শিকার হলেন।
বিজ্ঞাপন
আরএমএম/এমকেআর/জিকেএস
বিজ্ঞাপন