ব্যতিক্রমধর্মী ‘বন্ধু’ সম্মিলন: আপনি নয়, তুই ডাক শুনতে শোরগোল!
এই থাম্। আপনি করে সম্বোধন করছিস কেন? তুই বলে সম্বোধন না করলে কিন্তু বক্তব্য দিতে পারবি না। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বক্তব্যের শুরুতে বন্ধুদের আপনি সম্বোধন করায় বক্তব্যরত বন্ধুকে হৈচৈ করে থামিয়ে দেয় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বন্ধুরা। পরে তুই বলে সম্বোধন করে বক্তব্য শুরু করলে উল্লাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত বন্ধুরা।
যারা হৈচৈ করছিলেন তারা সবাই পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী। শুধু কি তাই, বয়সের কথা বেমালুম ভুলে দিনভর নেচে গেয়ে ফুর্তি করে দিন কাটায় বন্ধুরা। দিনভর কত শত সেলফি তুলেও স্বাদ যেন মেটেনি বন্ধুদের। আর তাইতো বিদায় বেলায় এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে জানতে চেয়েছে আবার কবে এমন দিন আসবে?
১৯৮৭ সালে সারাদেশে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ- ৮৭’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এ অনুষ্ঠানে দেশের ৪০টি জেলার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশ-৮৭ এর বন্ধুরা অংশগ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে আসলেও তাদের সবার পরিচয় একটাই আমরা ৮৭’র বন্ধু।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন সাতাশিয়ান বন্ধুকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন উদ্যোক্তা-পুলক কান্তি বড়ুয়া, কর্পোরের ব্যক্তিত্ব- অমিতাভ সাহা, সমাজসেবায়- আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, শিক্ষায় মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য -শাহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, সংগঠন-দি এলায়েন্স, টেলি যোগাযোগ-আব্বাস ফারুক, সাংবাদিকতা-মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, ক্রীড়া-আলফাজ আহমেদ এবং ব্যবসায় জাহাঙ্গীর আলম রানা।
এমইউ/এমআরএম