ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শোকাবহ আগস্ট

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে।

স্থায়ী মিশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ওইদিন সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানসূচির উদ্বোধন হয়।

মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে স্থায়ী মিশনে কর্মরত সকল সদস্য এতে অংশ নেন। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিকেলে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও সেই কালরাত্রিতে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এছাড়া নিউইয়র্কে সফররত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, জাতির পিতা একটি বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেন। দৃঢ়সংকল্প বাঙালি জনগোষ্ঠী জাতির পিতার নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। পরাজিত শত্রুদের জন্য এটা ছিল রাজনৈতিক, সামরিক ও নৈতিক পরাজয়। যা বিশ্ব ইতিহাসে অম্লান হয়ে আছে।

তিনি বলেন, এই পরাজিত শত্রুরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের চারটি মূল স্তম্ভকে বদলে ফেলতে চেয়েছিল। পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায় ফিরে যেতে চেয়েছিল। তাই তারা মার্শাল ল’ জারি করে অবৈধ পন্থায় সংবিধান সংশোধন করে। যা ছিল বেআইনি ও সংবিধান পরিপন্থী।

লেনিন বলেন, সেই আওয়ামী লীগ বিশাল বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সংবিধানে থাকা এসব অবৈধ পরিবর্তন বাতিল করে। জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি পুনঃপ্রবর্তন করে।

তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সেই অপশক্তি আবার পরাজিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালি জাতি সেই অপশক্তির অপকর্মের প্রতিশোধ নিয়েছে। বাঙালি জাতি তার মূল চেতনায় ফিরে এসেছে। ফলে দেশ এখন অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে।

অনুষ্ঠানে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের ভিডিও দেখানো হয়।

একে/এমআরআই