ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শোকাবহ আগস্ট

হাল ধরতে পারতেন শেখ কামালও

প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

জেল গেটে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা। সঙ্গে শেখ হাসিনা এবং শেখ কামাল। কামালের শৈশবে বাবা মুজিব অধিকাংশ সময়ই কারাগারের বন্দীশালায় কাটিয়েছেন। যে কারণে বাবাকে খুব বেশি মনে রাখতে পারতেন না শেখ কামাল। জেল গেটে বাবাকে কাছে পেয়েও বোন শেখ হাসিনাকে অনুনয় করে বলেছিলেন, ‘বুবু তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা ডাকি।’ কিন্তু জীবনের শেষ বেলায় বাবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই চলে যেতে হয়েছে শেখ কামালকে।

বেঁচে থাকলে আজ ৬৬ বছরে পা রাখতেন কামাল। বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে হাল ধরতে পারতেন বাবার তিলে তিলে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। দায়িত্ব পালন করতে পারতেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে। তা হয়নি। হয়েছেন নির্মম ইতিহাস। ৪০ বছর আগে বাবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইতিহাস হয়ে আছেন শেখ কামাল। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর বংশ, পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলকে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

শেখ কামালের আজ ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। শেখ কামাল শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ম্যাট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টামিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। তিনি ছায়ানট থেকে সেতার শিখেছিলেন।

শেখ কামাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যুদ্ধকালীন তিনি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকিকে বিয়ে করেন। তিনি ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা।

শেখ কামালের ৬৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এএসএস/বিএ