গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্যই সম্প্রচার আইন
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ নয়, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্যই সম্প্রচার আইন প্রণয়নের চিন্তা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের কার্যালয়ে সম্প্রচার আইনের খসড়ার ওপর অংশীজনদের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায় না, বরং গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশ ঘটাতে চায়। সরকারের কোনো দিনও গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ হওয়া উচিত নয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বলেই ১৯৯৭ সালে বেসরকারি টেলিভিশনকে লাইসেন্স প্রদান করে বর্তমান সরকার।
এই সম্প্রচার নীতিমালা সাংবাদিক- মালিক-সরকার ও জনগণ এই চারপক্ষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সম্প্রচার আইন আমাদের সবারই কাম্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমকে শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। গণমাধ্যমকে আরো বিকাশ করার জন্যই এই সম্প্রচার আইন নিয়ে সবার সঙ্গে খোলামেলা আজকের আলোচনা। এই নীতিমালা গণমাধ্যমের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগের নীতিমালা নয়।
সম্প্রচার আইন ২০১৬ খসড়া আইনের ১২ (চ) `নতুন লাইসেন্স প্রদানের জন্য গাইড লাইন প্রদান এবং টেলিভিশন, বেতার, ইন্টারনেট টিভি বা রেডিও বা অন্য যেকোনো প্রকারের প্রচার মাধ্যম ডিজিটাল বা ভিন্ন কোনো প্রকারের সম্প্রচার মাধ্যম ও সম্প্রচার যন্ত্রপাতি লাইসেন্স ইস্যুর জন্য সুপারিশ করা এবং সরকারের অনুমোদন ক্রমে তা ইস্যু করা` পাশাপাশি ১৮ লাইসেন্স প্রদান কমিশন (১) নিম্নে উল্লেখিত লাইসেন্স প্রদান করার বিষয় ধারা ১২(চ) এর বিধান সাপেক্ষে কমিশনের একক কর্তৃত্ব থাকবে (ক) সম্প্রচার লাইসেন্স এবং
( খ) সম্প্রচার যন্ত্রপাতির লাইসেন্স।
সম্প্রচার আইন ২০১৬ উপরোক্ত দুই ধারার পরস্পর সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমরা একটি স্বাধীন কমিশন চাই।
এসময় প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, অনলাইন কোন নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, তা স্পষ্ট করতে হবে। যদি এই নীতিমালার নাম হয় সম্প্রচার আইন তাহলে অনলাইন এর মধ্যে পরে না। এটাকে এই আইনের মধ্যে আনতে হলে সম্প্রচার আইন পরিবর্তন করে গণমাধ্যম আইন নামকরণ করতে হবে।
সভায় অলোচকরা খসড়া আইনের জন্য যেসব সুপারিশ উপস্থাপিত হয়েছে, তা সংশোধন করা প্রয়োজন বলে তথ্যমন্ত্রীকে জানান। পাশাপাশি এটা আলোচনার মাধ্যেমে আবার চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন।
আলোচনা সভায় তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/একে/এবিএস