সরকার অনলাইন গণমাধ্যমের প্রসারে বিশ্বাসী : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলেই অনলাইন গণমাধ্যমের শুরু। আর সরকার এই অনলাইন গণমাধ্যম প্রসারে ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী। এই সরকার গণমাধ্যমকে কখনও প্রতিপক্ষ মনে করে না। বরং নিত্যসঙ্গী মনে করে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। পরিপ্রেক্ষিত আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবির।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহুর্তে সরকার গণমাধ্যমের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করছে না। এমন কোনো আইন তৈরি করেনি যা গণমাধ্যমকে সংকোচন করে।
অনেক সময় গণমাধ্যম ও রাষ্ট্র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। গণমাধ্যম হুমকির মধ্যে পরে। গণতন্ত্রের যেমন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ চলছে, তেমনি বিকাশমান গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ দরকার। সেই জন্য অনলাইন নীতিমালা, চলচ্চিত্র নীতিমালা করা হচ্ছে।
অতীতের আইন-কানুন হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং সম্প্রসারণ নীতিমালা করা হচ্ছে। এসব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার একটা চেষ্টা এবং গণমাধ্যমকে অগণতান্ত্রিক চক্রের উৎপাত থেকে রক্ষার একটা প্রয়াস মাত্র।
ইনু বলেন, শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতা গ্রহণের সময় ৬’শ এর মত পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হত। এ মুহূর্তে ২৮’শ এর মত পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে বা নিবন্ধিত আছে। শেখ হাসিনার সরকার অতীতে ও বর্তমানে গণমাধ্যমের বিকাশে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা গণমাধ্যমের মৌলিক স্বাধীনতায় এবং গণমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তাছাড়াও শেখ হাসিনার সরকার তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করণের সব সময় সচেষ্ট থাকে। এজন্য এ সরকারের যাত্রার শুরুর কালে ২০০৯ সালে আমরা তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্র বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ না থাকলেও বাংলাদেশে বা পৃথিবীতে রাষ্ট্র বহির্ভূত চক্র যেমন জঙ্গি মাফিয়া চক্রের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের উপর চাপ আছে, হুমকি আছে এবং বিপদ আছে। এই চাপের পক্ষ নিয়েছি আমরা। গণমাধ্যমের পক্ষ হয়ে ওদেরকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মত প্রকাশের জন্য। সমালোচনার জন্য এবং ভিন্ন ভিন্ন দর্শন প্রচারের জন্য। গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতা কখনই উস্কানির জন্য নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য নয়। তাই আমরা মনে করি গণমাধ্যম এ ব্যাপারে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দেশে যে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলো আছে সেখানে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো থেকে সরকার কোনো আয় করে না। এটা নিয়ে ভাবার বিষয় আছে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) প্রধান নির্বাহী ও এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল, ৭১ টিভির পরিচালক (বার্তা) ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি টিভির সম্পাদক প্রনব সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি শাবান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/একে/এবিএস