সেমিনারে আলোচকরা
প্রযুক্তির বিকাশে বেড়েছে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তির বিবর্তনে সাংবাদিকতায় নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সাংবাদিকতা প্রথাগত নিয়মের বেড়াজাল ছিন্ন করে নতুন ধাঁচে অগ্রসরমান। এ নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। ইন্টারনেটের যুগে সাংবাদিকরা যাচাই–বাছাই ছাড়া সংবাদ পাঠকের উদ্দেশে ছেড়ে দিচ্ছে। এতে অনেক সময় ভুল সংবাদের জন্য পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এজন্য সব চাপ ও বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে পাঠককে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা একজন দক্ষ ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকের কাজ। সাংবাদিকতাকে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের আয়ত্তে রাখতে হলে প্রযুক্তি বিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে, নতুবা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে মোকাবিলা দুরূহ হয়ে পড়বে। প্রাচীনকালে সমাজের ওয়াচ-ম্যান থেকে সাংবাদিকতার ধারণা বিকশিত। এরপর সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনের পর এসেছে অনলাইন। এসবের সঙ্গে তাল-মিলিয়ে নিজেদের উপযোগী করে তুলতে না পারলে সাংবাদিকতায় টিকে থাকা দায় হয়ে যাবে।
শনিবার (৩ জুন) ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে পিআইবির কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পিআইবির মহাপরিচালক (ডিজি) জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ও অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক শুভ কর্মকারের সমন্বয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সাংবাদিকতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণের বিকল্প নেই। ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলের সাংবাদিকতা ও স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকতা ও বর্তমান ডিজিটাল সাংবাদিকতার বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেকেলে সাংবাদিকতাকে আঁকড়ে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এ পেশার সঙ্গে নিজেকে আর ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাই প্রযুক্তি জ্ঞানের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। নতুবা নতুন বিকশিত প্রযুক্তি জ্ঞানের দাপটে নিজেদের আর খাপ খাইয়ে নেওয়া যাবে না। সেভাবে সাংবাদিকদের প্রযুক্তি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। তিনি বলেন, সংবাদপত্রের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে শুরু হলেও এখনো টিকে আছে। টেলিভিশন ও বেতারের তুলনায় সংবাদপত্র অনেক প্রাচীন। বিংশ শতাব্দীতে ইন্টারনেটের আর্বিভাবে মানুষের কাছে সহজে তথ্য পৌঁছে যাওয়ায় সংবাদপত্র, রেডিও ও টেলিভিশন অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
‘সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ’- সে কথা উল্লেখ করে পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের পর এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলে এসেছে। এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর আগেই পঞ্চম শিল্পবিপ্লব চলে আসবে। তাই সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাংবাদিকের দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।
এছাড়া সেমিনারে পিআইবির অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পংকজ কর্মকার, প্রভাষক বেগম লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন ও পিআইবির সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আলোচনা শেষে গত ১৯ মার্চ পিআইবির সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের আলোকে ‘বঙ্গবন্ধুর মানস’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে এবং পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এমএএইচ/
সর্বশেষ - গণমাধ্যম
- ১ নিউইয়র্ক আইনসভার বিশেষ সন্মাননা পেলেন কেরামত উল্লাহ বিপ্লব
- ২ গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশনকে সহযোগিতার আশ্বাস সাংবাদিক নেতাদের
- ৩ বাতিল অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনা করবে পিআইডি
- ৪ গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে সংবেদনশীলতা নিশ্চিতের আহ্বান
- ৫ বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএসইসি সদস্যদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প