ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

অব্যাহতির পর রোজিনার বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি আবেদন, ডিআরইউ'র উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর বাদীর নারাজি আবেদনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেশাদার সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ)।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৩) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ উদ্বেগ জানান।

ডিআরইউ নেতৃদ্ব বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে ডিবি পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার প্রায় ৭ মাস পর ফের নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এটি স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। অবিলম্বে এ মামলা থেকে রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন>> সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অব্যাহতির আবেদনে নারাজি দেবেন বাদী

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর অধিকতর তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানীর নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিআরইউ।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন। তাকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখার পর শত বছরের পুরোনো ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলা তদন্ত করে গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন>> সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নথি চুরির সত্যতা পায়নি ডিবি

সোমবার আদালতে হাজির হয়ে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি (নারাজি) জানান মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এনএইচ/এমএএইচ/এমএস