আলতাফ মাহমুদের সফল অস্ত্রোপচার : আইসিইউতে স্থানান্তর
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর সভাপতি আলতাফ মাহমুদের দেহে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তাকে কেবিনে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়ার নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল এ অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন।
আলতাফ মাহমুদের অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া জাগো নিউজকে বলেন, জটিল হলেও অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণরূপে সফল হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি অজ্ঞান, দীর্ঘ সময় অস্ত্রোপচারের জন্য আলতাফ মাহমুদকে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞান করা হয়। তার জ্ঞান ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে তাকে নিবিড় চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
জনপ্রিয় এ সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ সার্ভিক্যাল কমপ্রেসিভ মাইলো রেডিকিউলোপ্যাথি নামক দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে বিএসএমইইউ’র আইসিইউতে ভর্তি হন। স্পাইনাল কডে অতিরিক্ত চাপের কারণে এ সাংবাদিক নেতার দুই পা সম্পূর্ণরূপে ও দুই হাত আংশিক প্যারালাইজড হয়ে যায়। এছাড়া আলতাফ মাহমুদ হৃদরোগ ও ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
প্রবীণ জনপ্রিয় এ সাংবাদিক নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে গত রোববার নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়াকে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
মেডিকেল বোর্ডে আরো যারা রয়েছেন, তারা হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, নিউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আনোয়ার উল্ল্যাহ, নিউরোসার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফজাল হোসেন ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মঈনুজ্জামান। মেডিকেল বোর্ডের বাইরে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দবির উদ্দিনও ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রবীণ এ জনপ্রিয় সাংবাদিক নেতার চিকিৎসার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এমইউ/আরএস/পিআর