গণমাধ্যমে অস্থিরতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা ডিইউজের
বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও করোনা সংকটের দোহাই দিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে নীরবে সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাহী পরিষদ। এ ব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।
আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিইউজের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় দৈনিক জনকণ্ঠ, মানবকণ্ঠ, ডেইলি নিউ নেশনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অভ্যন্তরীণ সংকট দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়। ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কথাশিল্পী রাহাত খানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপনপ্রবাহ আগের মতোই আছে। কিন্তু সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে গড়িমসি করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে পুরো গণমাধ্যম শিল্পকে।
স্বাগত বক্তব্যে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, গণমাধ্যম সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিকদের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেতন থাকতে হবে।
সভায় ইউনিয়নের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় লুপা তালুকদারের সদস্যপদ সর্বসম্মতিক্রমে স্থগিত করা হয়।
গণমাধ্যমের সংকট নিরসনে সরকার, মালিকপক্ষ ও সাংবাদিক নেতাদের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বকেয়া বেতন পরিশোধে মালিকপক্ষের উদাসীনতা এবং দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিক ছাঁটাইয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসব সংকট সমাধানে মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, যুগ্ম-সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, জনকল্যাণ সম্পাদক সোহেলী চৌধুরী, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, শাহনাজ পারভীন এলিস, সলিমুল্লাহ সেলিম, এ এম শাহজাহান মিয়া, অনুপ খাস্তগীর, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নিউনেশন ইউনিট প্রধান হেমায়েত হোসেন, দৈনিক ইনসানিয়াতের ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, দৈনিক করতোয়ার ইউনিট প্রধান এস এম শাহাব, দৈনিক জনতার ইউনিট প্রধান আতাউর রহমান জুয়েল, দৈনিক জনকণ্ঠের ডেপুটি ইউনিট প্রধান পলাশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এমইউ/এইচএ/পিআর