ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

অফিসেই সার্বক্ষণিক অবস্থান সমকালের ৩০ কর্মীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পত্রিকার প্রকাশনায় যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য দৈনিক সমকালের প্রধান কার্যালয়ে ৩০ জন কর্মী সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। গত ২৪ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মাত্র ৩০ জন সহকর্মী নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল থেকে আমরা সমকালের প্রধান কার্যালয়েই সার্বক্ষণিক অবস্থান নিয়েছি। এই দলে একেবারে অফিস সহকারী থেকে শুরু করে সম্পাদক পর্যন্ত রয়েছেন। নিউজ ম্যানেজমেন্ট, রিপোর্টিং, নিউজ ডেস্ক, বিজ্ঞাপন, সার্কুলেশন, গ্রাফিক্স এবং সম্পাদনা সহকারী বিভাগের নির্বাচিত কর্মীরা সার্বক্ষণিক অফিসে থেকে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘আসলে সূর্য যেমন, সাংবাদিকতা পেশাটাও তেমন- একদিনের জন্যও বিরতি নেয়ার অবকাশ নেই। করোনার এই সময়ে যুদ্ধ করেই আমরা প্রতিদিনের সূর্যোদয় অব্যাহত রেখেছি। সূর্য না উঠলে যে সকাল হয় না। আমাদের চাই, প্রতিদিন নতুন নতুন সম্ভাবনার সকাল।’

জানা যায়, পত্রিকাটির সম্পাদকীয়, ফিচার, ক্রীড়া, বাণিজ্যসহ কয়েকটি পাতা তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে ‘হোম অফিস’ থেকে। বস্তুত দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তারের শুরু থেকেই অফিসের বাইরে ও ভেতরে তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। সব ক্ষেত্রেই যাতে সীমিত জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমকালের প্রধান কার্যালয়কে কার্যত ‘লকডাউন’ করে কাজ করছেন তারা। সেখানেই খাচ্ছেন এবং ফ্লোরে ঘুমাচ্ছেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরেক সাংবাদিক। নতুন করে আক্রান্ত এ সাংবাদিক দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রিপোর্টার। কয়েক দিন ধরেই করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) বার বার ফোন দিলেও প্রাথমিকভাবে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

পরে সাংবাদিকরা চাপ দিলে ওই সাংবাদিকদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা নেয়ার দুদিন পর বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নম্বর থেকে রোগীকে এসএমএস করে করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।

দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের এই সাংবাদিকসহ এখন পর্যন্ত ৩৯ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন সিনিয়র সাংবাদিক মারা গেছেন। সেরে উঠেছেন ৮ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদকর্মীরা।

এ কারণে টিভি অফিসটি লকডাউন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সংবাদ বিভাগ। বিশেষ ব্যবস্থায় পুরোনো অনুষ্ঠান নিয়ে সম্প্রচার চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, বুধবার যশোরের স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের একজন সাব-এডিটরের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়।

করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা সাংবাদিকরা হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাপারসন, যমুনা টিভির রিপোর্টার, দীপ্ত টিভির একজন, এটিএন নিউজের রিপোর্টার, যমুনা টিভির নরসিংদী প্রতিনিধি, একাত্তর টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি, বাংলাদেশের খবরের রিপোর্টার ও দৈনিক সংগ্রামের একজন।

এইচএস/এফআর/পিআর