ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে ছাড় দেয়ার আহ্বান কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সাংবাদিক ও মালিক উভয় পক্ষকে কিছু ছাড় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংবাদিকদের স্বার্থকেও আমাদের দেখতে হবে। আবার যারা মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেবে, তাদের সঙ্গেও কিছুটা বোঝাপড়ার বিষয় আছে। তা না হলে তো সমাধান হবে না। এটা সবাইকে বুঝতে হবে একটি বাস্তবভিত্তিক মনমানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে যুক্তির বিচারে চলতে হবে, যার যার অবস্থানে অনড় থাকলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন মন্ত্রিসভা কমিটি ফাইনালি দেখে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, একটা অ্যাডজাস্টমেন্টের (মানিয়ে নেয়া) চেষ্টা করেছে। এখন সাংবাদিক ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে আবার রিট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের যেকোনো ব্যাপারে বাস্তববাদী হতে হবে। কারণ আপনি নেবেন কিন্তু যিনি দেবেন তিনি দেবেন কি-না, তারাও আবার তাদের পক্ষ থেকে মামলা করেছে। এটার একটা সমাধান খুঁজতে হবে। সমাধানের জন্য রিয়ালিস্টিক অ্যাপ্রোজ থেকে আমরা চেষ্টা করেছি, দু-একটা বিষয়ে কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্ট করে একটা ব্যালেন্স (ভারসাম্য) করার জন্য। কিন্তু সেটা তো সাংবাদিকদের মূল স্টেকহোল্ডাররা মানতে চান না। আবার যেটা হয়েছে সেটা মালিক পক্ষ মানতে চান না। ফলে মাঝখানে একটা ব্যালেন্সের দরকার আছে। সেটা না হলে বিষয়টি আলোর মুখ দেখবে না। সমাধানের পথ পাবে না। সেখানে আমাদের করণীয় কী?’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে শুধু বৈঠক করলে হবে না। সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যেও বসতে হবে। কারণ আপনারা যারা বেতন নেবেন আর যারা বেতন দেবেন তাদের সঙ্গে একটা কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তাদের সঙ্গে পয়েন্ট অব নোটে গেলে, সেখানে বিষয়টা কোথায় দাঁড়ায় এখন আপনারা বিষয়টা পদে পদে টের পাচ্ছেন। সমাধান তো হচ্ছে না মামলার পর মামলা, কাউন্টার মামলা। এর মধ্য দিয়ে তো সমাধান হবে না। একটা বিষয়ভিত্তিক কম্প্রোমাইজ করতে হবে। কারণ তাতে স্বার্থ সবার আছে। সাংবাদিক ও মালিকদের স্বার্থ আছে। তারা বেতন দেবেন আপনি বেতন গ্রহিতা। তারা বলছেন তাদের এ বেতন দেয়ার ক্ষমতা নেই, তারা দিতে পারবেন না। আপনি বলছেন এটাই আপনার ন্যায্য প্রাপ্য এবং আপনি এখান থেকে নড়ছেন না। তাহলে সমাধান হবে কেমন করে। সমাধান করতে হলে আমি তখনও বলেছি এখনও বলছি, উভয় পক্ষকে কিছু ছাড় দিতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এখানে সাংবাদিকদের স্বার্থটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। তাদের রুটি-রুজির বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। কাজেই আমার মনে হয় সমস্যাটি সমাধানে উভয় পক্ষকে বাস্তবভিত্তিক পথ খুঁজতে হবে। সাংবাদিকদেরও বাঁচতে হবে মালিকদেরও স্বার্থ রক্ষা করে তাদের ইন্ডাস্ট্রি চালাতে হবে। এই দুটা বিষয়ের মধ্যে একটা বোঝাপড়া করতে হবে বলে আমি এটাই মনে করি।’

নবম ওয়েজবোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাঁটাই চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাঁটাই প্রক্রিয়া তো তাদের (মালিক) হাতে। তারা মামলায় যাবেন ছাঁটাই করবেন সে অস্ত্র তো তাদের হাতে। যেহেতু সে প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিক হিসেবে ছাঁটাইয়ের অধিকার তার আছে। সেটা সে করতে যাবেন। আমরা এজন্য দু-একটা বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে সমাধান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের পক্ষ থেকে মামলা ঠুকে দিল।’

এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ