বৈচিত্র্যময় নৃত্যে উড়িশার সংস্কৃতি
বিচিত্র ভারত, তার চেয়েও বিচিত্র তার সংস্কৃতি। রাজ্যে রাজ্যে মানুষের ভাষা, খাদ্যাভাস, পোশাক, বর্ণ, ধর্মে নানা অমিল। তবে বহু সংস্কৃতির ভারত মিলিত হলো ওড়িশার ভুবনেশ্বরে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ন্যাশনাল মিডিয়া কনক্লেভের তৃতীয় আসরে। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে ওড়িশা রাজ্যের সংস্কৃতি। বৈচিত্র্যময় নৃত্যের তালে তালে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এ রাজ্যের আবহমান সংস্কৃতিকে।
দিনভর গণমাধ্যম গবেষক-শিক্ষকদের তাত্ত্বিক আলোচনা শেষে ভিন্ন মাত্রা দেয় এ পরিবেশনা। যা মোহিত করে সর্বভারতীয় ও বাংলাদেশি ডেলিগেটদের। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কিট ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি চলে নৃত্যের ঝংকার।
শুরুতেই ওড়িশি নৃত্যে নিয়ে মঞ্চে আসে একদল নৃত্যশিল্পী। তাদের শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী দর্শক সারিতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। নাচের তালে আর গানের সুরে পরিচয় মেলে অন্য এক ওড়িশার। ভারতের আটটি ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীরও অন্যতম এ নৃত্যে মজে করতালি দিতে কার্পণ্য করেননি আগত ডেলিগেটরা। মুহুর্মুহু করতালিতে পুরো মিলনায়তন যখন ভরে উঠেছে ঠিক তখন মঞ্চে আসে আরেক দল নৃত্যশিল্পী। ব্যতিক্রমী সাজে বিচিত্র সব বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে শুরু করেন তাদের পরিবেশনা। যা ওড়িশার আদিবাসী নৃত্য নামে পরিচিত।
এরপর কৃষ্ণ-বিরহাতুর রাধা চরিত্রের উপস্থাপনা নিয়ে পরিবেশন করা হয় আরেকটি নৃত্যের। শেষে ওড়িশা নারীদের প্রেমাবেগের বহিঃপ্রকাশ ফুটিয়ে তোলা হয় নৃত্যের ছন্দে। এমন বৈচিত্র্যময় নৃত্যেই পরিচয় মেলে বিচিত্র ভারতের ওড়িশার সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য, ভুবনেশ্বরের উৎকল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া স্টাডিজের আয়োজনে সর্বভারতীয় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার শিক্ষক-গবেষকদের এই আসরে এবার যোগ দিয়েছেন ৪৫ জন বিশেষজ্ঞ। যেখানে ৯৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে। এছাড়া থাকছে দশটির মতো সেশন। যা চলবে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
এতে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডেলিগেট টিমে যোগ দিয়েছেন পাঁচ সদস্যের একটি দল। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। পাঁচজনের এই দলে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এবং জাগো নিউজের চবি প্রতিবেদক আবদুল্লাহ রাকীব।
আরএআর/পিআর