ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

অনলাইনের সংবাদ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে ১২% শিক্ষার্থী

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯

দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাত্র ১২ দশমিক ৪ শতাংশ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। সম্প্রতি এক গবেষণা জরিপের ফলাফলে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। দেশের ৮টি বিভাগের ২৪টি জেলার ২৪টি প্রতিষ্ঠানের (১৬টি বিদ্যালয় ও ৮ টি মাদরাসা) ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির দুই হাজার চারশ শিক্ষার্থীর মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়। এছাড়াও জরিপে ৪২ জন শিক্ষক ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন।

জরিপের ফলাফলে আরও উঠে এসেছে- দেশের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। যেখানে মাদরাসার শিক্ষার্থীর হার ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীর হার ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ পড়ে ও শেয়ার করে। আর ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো সংবাদ পাওয়ার পর সেটি পুনরায় যাচাই করে দেখে।

online

বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই বিষয়ে গবেষণার ফলাফল এই গোলটেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ লুৎফর রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন মুরশিদ আখতার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হ্যানিলো। এতে সভাপতিত্ব করেন সাকমিডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নজর-ই জিলানী।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমবিআর/এমএস