শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে শোক বই খুলেছে ডিইউজে
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে তিনদিনের জন্য একটি শোক বই খুলেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আগামী রোববার পর্যন্ত এ শোক বই খোলা থাকবে। এছাড়া আগামী সোমবার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
আজ (বৃহস্পতিবার) এক যৌথ বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রয়াত শাহ আলমগীর ছিলেন সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নাম এবং সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এক সংগ্রামী অধ্যায়। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতে এক ইতিহাসের অবসান ঘটলো। সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব ও সাংবাদিক নেতৃত্বে সততা ও একনিষ্ঠতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি।
শাহ আলমগীর শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট পিআইবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি দৈনিক প্রথম আলো, সংবাদ, জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, যমুনা টেলিভিশন, চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, মাছরাঙা টেলিভিশন ও এশিয়ান টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য ছিলেন।
শাহ আলমগীর আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি লিউকোমিয়া ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
বিবৃতিতে নেতারা শাহ আলমগীরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জনান। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে, পাঁচ ভাই, চার বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব অঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থানে জানাযা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর গোরস্থানে শাহ আলমগীরের মরদেহ দাফন করা হয়।
এমইউ/এনডিএস/পিআর