‘ওয়েজ বোর্ড একতরফাভাবে ঘোষণা করলে বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে’
সাংবাদিকদের নতুন বেতন (নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ) কাঠামো একতরফাভাবে ঘোষণা করলে তা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) তথ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ পরীক্ষা করে চূড়ান্ত করতে পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নতুন একটি জার্নি শুরু করছি। বিষয়টি পুরনো, কিন্তু পুরনো বিষয় নিয়ে নতুন একটি যাত্রা।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টিকে কতটা সিরিয়াসলি দেখছি সেটার বড় প্রমাণ হচ্ছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এ বিষয়ে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের চেয়েও মনে হয় এ কমিটি আরও স্ট্রঙ্গার, গুরুত্বের দিক থেকেও...।’
‘আমরা চাইছি বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান, একটা রিজিনেবল-রিয়ালিস্টিক সমাধান করার জন্য। সে লক্ষ্য সামনে রেখেই এ বৈঠক।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি, নোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তাদেরও ধন্যবাদ, তারা শর্ট নোটিশে বৈঠকে এসেছেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ ছিল না। আমরা প্রারম্ভিক কিছু আলোচনা করেছি এবং তাদের বটম লাইন জেনেছি। মোটামুটি এ বিষয়ে অবজারভেশন তারা ব্যক্ত করেছেন, খুব খোলা মনে আলোচনা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, আরও আলোচনা হবে।’
‘নোয়াব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করব। আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে দ্রুত একটা সমাধানের ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। সে লক্ষ্যে এ কমিটি কাজ করে যাবে। এছাড়া আজকে নতুন কিছু নেই’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
মিটিংয়ের বটম লাইন কী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বটম লাইন হচ্ছে কো-অপারেশন। সহযোগিতা, সহযোগিতার হাত যেখানে প্রসারিত হবে সেখানে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বটম লাইন। সুনির্দিষ্ট বিষয় তো আছেই। এগুলো আমার মনে হয় কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড... বিষয়টি একেবারে সহজ নয়। এখানে জটিল কিছু বিষয় আছে। এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার আছে। কাজেই এর সমাধান করতে হলে পারস্পরিক সহযোগিতা, কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টটা করতে হবে। এখানে ওয়ান সাইডেড কোনো সমাধান করলে ইমপ্লিমেন্টশন প্রসেস বাধাপ্রাপ্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইমপ্লিমেন্টশন প্রসেস যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে আমি একতরফা কিছু ডিক্লেয়ার করে দিলাম এর তো কোনো ফল আসবে না। এর বেনিফিট তো কেউ পাবে না, বেনিফিট তো পেতে হবে।’
টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টেলিভিশনের বিষয়টিও আমরা বিবেচনায় আনব। আলোচনার প্রসেসের মধ্যেই এ বিষয়টি চলে আসবে।’
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত টেলিভিশন সাংবাদিকের বিষয়টি সুপারিশমালায় আছে। বিষয়টি কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় সুপারিশে আছে। সেই আলোকে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।’
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এএইচ/আরআইপি