নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা
সংবাদ কর্মীদের বেতন বাড়াতে গঠিত নবম মজুরি বোর্ড (ওয়েজবোর্ড) তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। রোববার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ২০১৮’ সুপারিশমালা জমা দেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও তথ্য সচিব আব্দুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রেস) ও নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের সচিব মিজান উল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বোর্ডের চেয়ারম্যান আজ তথ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছেন।’
সুপারিশে থাকা কোনো তথ্য না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এটি পর্যালোচনা করবে। এরপর এটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর কথা। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে পরে এটি গেজেট আকারে জারি হবে। গত ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ পাওয়ার পর এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। এবার কীভাবে হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।’
সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি নবম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। ১৩ সদস্যের এ বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক।
এছাড়া সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মচারী বা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সমসংখ্যক প্রতিনিধিও রয়েছে ওয়েজবোর্ডে।
সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বোর্ডকে ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছিল। গত ২৮ জুলাই সেই সময় শেষ হয়। পরে নবম মজুরি বোর্ডের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নবম বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার আগে প্রতি মাসের মূল বেতনের ওপর ৪৫ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে সরকার। এ মহার্ঘভাতা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর ধরা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র কর্মীদের বেতন-ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে অষ্টম ওয়েজবোর্ডের (অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ, ২০১৩) গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
আরএমএম/এনডিএস/পিআর