ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

মু‌ক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করতে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে সাংবাদিক সমাজ। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষকে বিজয়ের লক্ষ্যে করণীয় শীর্ষক’ ফোরাম সভায় এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সর্বোচ্চ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করি তাদের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতাকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ভোট যুদ্ধের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই মানুষের অধিকার নিশ্চিত, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গঠনে যার যার অবস্থান থেকে আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।

jagonews

সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাংবাদিক নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। বিগত ১০ বছরে এ সরকার দেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। দেশকে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদমুক্ত করেছে। তাই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে সব বিভেদ ভুলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে আবারও নির্বাচিত করতে সারাদেশে সাংবাদিকদের নিয়ে নির্বাচন কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার কৌশলসহ সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পশামর্শ দেন সাংবাদিক নেতারা। এ সময় সাংবাদিক নেতারা সব পত্রিকায় ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি জানান।

একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ আইনটি নিয়ে ৯৯ শতাংশ সাংবাদিক ভীত ও আতঙ্কিত। অনেকে এ আইনের বিষয়ে সচেতন নন। তাই এ বিষয়ে সরকারসংশ্লিষ্ট ও সাংবাদিক নেতাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। আগামী নির্বাচনের আগে এ আইনটি বাস্তবায়ন না করার দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ৫৭ ধারার অপব্যবহার সাংবাদিকদের অনেক ভুগিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারায় সমস্যা আছে, যা সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ক্ষুণ্ন করবে। এটি বিবেচনার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করছি এর সমাধান হবে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে দু’টি পক্ষ অংশগ্রহণ করবে। একটি আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। অপরটি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করতে পেশাগত অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বিরোধীদের অপপ্রচার রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের পক্ষে কাজ করি। আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।

বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে মিডিয়া সেল গঠন করতে হবে। যারা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী বলেন, নিজেদের মধ্যে বিভেদ প্রতিহিংসা থাকলে নির্বাচনে জয় লাভ করা যায় না। তাই আগামী নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তা না হলে নিজেদের কারণে প্রতিপক্ষের কাছে আমরা পরাজিত হবো।

jagonews

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, নির্বাচন একটি যুদ্ধ। এর মধ্যে বড় যুদ্ধ তথ্যের যুদ্ধ। আমাদের বিপক্ষ শক্তি এক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্ততি নিতে হবে।

অনলাইন পত্রিকা জাগোনিউজ২৪.কমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার বলেন, আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। নেতারা একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেবেন। সেই আলোকে আমরা অনলাইন, পত্রিকা ও টিভির গণমাধ্যম কর্মীরা যে যার অবস্থান থেকে কাজ করব।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বিএফইউজের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হাসান আরেফিন, মাঈনুল আলম, কল্যাণ শাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাগোনিউজ২৪.কমের প্রধান প্রতিবেদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, নির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, মহিউদ্দিন পলাশ, দেশ বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল খান, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সভাপতি কে এম শহিদুল হক, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমান, সাংবাদিক নেতা আব্দুল মাজিদ, মাহমুদুর রহমান খোকন, শাহীন কবির, সিদ্দিকুর রহমান, অয়াজিৎ কুমার, দুলাল খান প্রমুখ।

এসআই/এসএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন