ভেস্তে গেলো বিএফইউজের সব আয়োজন
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচন উপলক্ষে করা সব আয়োজন ভেস্তে গেছে। শ্রম আদালতে সাংবাদিক খায়রুল আলম ও সেবিকা রানীর করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান ড. শাজাহান নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আদালত নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়ায় শুক্রবার বিএফইউজের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার নির্বাচন হবে সে হিসেবে পরিচালনা কমিটি সব আয়োজন সম্পন্ন করে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনের মঞ্চ এবং ভোটের বুথ নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়। প্রেস ক্লাব চত্বরে নির্মাণ করা হয় বিশাল প্যান্ডেল। প্রচার করা হয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। কিন্তু সব আয়োজন আদালতের স্থগিতাদেশেই বন্ধ হয়ে যায়।
এ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তোপখানা রোডস্থ জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং এর আশপাশে প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন টানিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে উঠলেও শেষ মুহূর্তে সব আয়োজন ম্লান হয়ে গেছে।
এবারের নির্বাচনে ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদ এবং জলিল-কাজল-মধু পরিষদ ছাড়াও অনেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন।
ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদে সভাপতি পদে ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও মহাসচিব পদে শাবান মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম সবুজ, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ এবং দপ্তর সম্পাদক পদে হেমায়েত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এ ছাড়া এ পরিষদে নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন, স্বপন দাস গুপ্ত, মফিদা আকবর, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও নুরে জান্নাত সীমা।
জলিল-কাজল-মধু পরিষদে সভাপতি পদে আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি ড. উৎপল কুমার সরকার ও মহাসচিব পদে জাকারিয়া কাজল, যুগ্ম-মহাসচিব নাসিমা আক্তার সোমা, কোষাধ্যক্ষ মধুসুদন মণ্ডল এবং দপ্তর সম্পাদক পদে বরুণ ভৌমিক নয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এ পরিষদে নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন, জহুরুল ইসলাম টুকু, খায়রুজ্জামান কামাল, শেখ মামুনুর রশিদ ও আখতার জাহান মালিক।
নির্বাচন পরিষদের বাইরেও সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোল্লা জালাল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন আবদুল মজিদ, খায়রুল আলম, দীপংকর গৌতম, ফজলুল হক বাবু ও মানিক লাল ঘোষ। দপ্তর সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজা।
প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন, সেবিকা রানী, মীর আফরোজ জামান, আবদুল খালেক লাভলু, শামসুর রহমান।
নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞার কারণে মোট চার হাজার ১৪১ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হলেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রম, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ভোটাররাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন।
এফএইচএস/এএইচ/পিআর