অখিল পোদ্দারকে নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক অখিল পোদ্দারকে নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫৪ ধারামতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আজ রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও ব্চিারপতি আশফাকুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চিএকটি রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে অখিল পোদ্দারের নির্যাতনের মামলা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন বাদীকে হত্যার চেষ্টা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বাদী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্সেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫৪ ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুই জন অফিসার দিয়ে এ ঘটনা তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ তদন্ত প্রতিবেদন আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর কুমারখালীর ওসিকে ও ২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ ঘটনার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপি, এএসপি ও কুমারখালীর এএসআই আবুল কামাল আজাদ।
গত ২৬ আগস্ট রাতে একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দার ও মোহনা টেলিভিশনের কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে কুষ্টিয়া শহর থেকে খোকসায় ফেরার পথে তারা বাটিকামারা রেলগেট নামক স্থানে টলহরত কুমারখালী থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ তাদের থামায়। এসময় অখিল পোদ্দার সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোনো কারণ ছাড়াই ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকেদের জাত তুলে গালাগাল দিতে থাকেন। অখিল পোদ্দার এর প্রতিবাদ করলে পুলিশ সদস্য আজাদসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স তাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। ওই সময় ঘটনা জানানোর জন্য অখিল পোদ্দার তার মোবাইল বের করলে পুলিশ তা ভেঙে ফেলে।