ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

বকেয়া বেতনের দাবিতে ফের ইনকিলাব ভবন ঘেরাও

প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ০৪ জুন ২০১৭

২৬ মাসের বকেয়া বেতনসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে মতিঝিলের টিকাটুলিতে ইনকিলাব ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে চাকুরিচ্যুত ইনকিলাব সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

রোববার ইনকিলাবের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদককে আবারও ৭২ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে চাকরিচ্যুদের সমুদয় পাওনা এক চেকে পরিশোধ না করা হলে লাগাতার কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা।

পত্রিকাটির চাকরিচ্যুত সিনিয়র রিপোর্টার আফজাল বারীর সঞ্চালনায় ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সহকারী সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, বিশেষ সংবাদদাতা শামীম চৌধুরী, মফস্বল সম্পাদক জামান সৈয়দী, সিনিয়র রিপোর্টার এনামুল হক সরকার (এনাম সরকার), সিনিয়র সাব-এডিটর মিজানুর রহমান, জহিরুল হক চাখারি, বিভাগীয় সম্পাদক (মহিলা) ফাহমিদা আহমেদ, রেফারেন্স ইনর্চাজ আজিজ মিজি প্রমুখ।

বকেয়া পাওনা পরিশোধে তথ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তারা বলেন, ইনকিলাব সম্পাদক পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনাদি আত্মসাৎ করে আসছেন। অতীতে আত্মসাতের প্রতিকার না করায় তিনি এখন শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীর পাওনা কোটি কোটি টাকা মেরে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। এটি গণমাধ্যমের জন্য একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

ইনকিলাব সম্পাদকের এই হীনপ্রচেষ্টা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর স্মরণাপন্ন হতে চাকুরিচ্যুতদের পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা। একই সাথে সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ পত্রিকার অন্যান্য পরিচালকের বাড়ী ঘেরাওসহ তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়।

এর আগে ইনকিলাব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। উল্লেখ্য, বকেয়ার মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ দিয়ে ‘সমুদয় পাওনা বুঝিয়া পাইলাম’-এই মর্মে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপ সই দিতে বাধ্য করার অনৈতিক প্রস্তাবনা থেকে ইনকিলাব কর্ত্তৃপক্ষ এখনও ফিরে আসেনি।

আলোচনার নামে ইনকিলাবেব হিসাব বিভাগ থেকে মালিকের প্রতিনিধিরা একই প্রস্তবনা দিয়েছেন। অথচ ইনকিবলাব সম্পাদকের এই মানবাতাবিরোধী ও গোটা সাংবাদিক সমাজের জন্য অবমাননাকর প্রস্তাবনায় রাজি না হওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে মধ্যে বিনা নোটিশে ১০০ সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

এমএমএ/এমএস

আরও পড়ুন