ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

আবারও বন্ধ হচ্ছে দৈনিক বর্তমান

প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৭

কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া দৈনিক বর্তমান আবারও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী মে মাসের মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে সেখানে কর্মরতদের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক।

পত্রিকার মালিক মিজানুর রহমান নোটিশ দিয়ে জানান, দৈনিক বর্তমান পরিচালনার জন্য নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে রফিকুল ইসলাম রতন ছয় মাস (ডিসেম্বর-২০১৬ থেকে মে-২০১৭) সময় নিয়েছেন। এ ছয় মাস পত্রিকা পরিচালনার জন্য সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ব্যয় আমি বহন করবো। কিন্তু ছয় মাস পর পত্রিকা পরিচালনার জন্য নির্বাহী সম্পাদক অপারগ হলে সম্পাদক কোনো দায় দেবে না। এমনকি পত্রিকা বন্ধ হলেও কোনো টাকা-পয়সাও দেয়া হবে না।  

অনেক নাটকীয়তার মধ্যে বাজারে আসা পত্রিকাটি এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেও একবার বন্ধ হয়েছিল। হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় সেখানে কর্মরতরা বেকার হয়ে পড়েন। পরে মাসব্যাপী আন্দোলনের পরও আইন অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কিছু সাংবাদিক নেতার হস্তক্ষেপে অল্প বকেয়া পরিশোধ করা হয়। এরপর কয়েক মাস আগে আবারও প্রকাশনায় আসে পত্রিকাটি। এখন আবার বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন সেখানে কর্মরতরা।

mizan

এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বুধবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি যেকোনো গণমাধ্যম বা প্রতিষ্ঠান বের করতে হলে অবশ্যই মালিকপক্ষকে সেই ধরনের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু দৈনিক বর্তমানের ক্ষেত্রে দেখছি শুরু থেকেই হোঁচট খাচ্ছে। আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে মালিকপক্ষ বার বার নানা ধরনের টালবাহানা করছে।  

আমরা মনে করি এ পত্রিকার ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। যাতে আমাদের সহকর্মীরা কোনো ধরনের বঞ্চনার শিকার না হন। আমরা নোটিশ টোটিশ বুঝি না। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই এ পত্রিকায় কর্মরতদের যদি বিদায় করতে হয় তাহলে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সব পাওনা দিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, দৈনিক বর্তমান বাজারে আসে ২০১৩ সালের ২ জুলাই। এর মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। পত্রিকাটি বাজারে আসে ‘উদ্ভূত’ কায়দায়। এর আগে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাংবাদিক নিয়োগ করা হয়নি। শুরুতে পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক রাহাত খান। পরে তিনি পদত্যাগ করেন।

মালিক ও প্রকাশক মিজানুর রহমান দুর্নীতি ও হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের ঘটনার মামলায় বেশ কয়েকবার কারাগারে ছিলেন।

এইচএস/এএইচ/জেআইএম