ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

সাংবাদিকের উপর পুলিশের নির্মম নিষ্ঠুরতা!

প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে মোটর সাইকেলে যাওযার পথে দুই সাংবাদিককে বেদড়ক পিটিয়ে রক্তাত্ত করেছে রমনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সুমন। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও ক্ষান্ত হননি সুমন। রাস্তা থেকে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে কয়েকদফা মেরে রক্তাত্ত্ব করে দেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় নগর মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় মেহেদী হাসান সুমনের নেতৃত্বে রমনা থানার ১৫-২০জন পুলিশ দুই সাংবাদিককে তাদেরকে পায়ের বুট ও বন্দুকের বার দিয়ে বেদড়ক মারধর করে থানায় কয়েক ঘন্টা আটকে রাখে।

পরে তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, দি নিউ এজ পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নাজমুল হুদা সুমন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুজ্জামান শুভ।

গুরুতর আহত দুইজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে রোববার বিকেল ৫টার দিকে সুমন তার এক বন্ধুকে মোটরবাইকের পেছনে করে বিজয় নগর মোড় দিয়ে ফকিরারপুলের দিকে যাচ্ছিল। বাইক নিয়ে সুমন মোড়ে পৌঁছালে সেখানে কতর্ব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ থামানোর সঙ্কেত দেয়। এতে সুমন তার বাইক থামালে ওই পুলিশ বাইকের পেছনে কেন আরেকজন যাত্রী কেন নেয়া হয়েছে তার কারন জানতে চায় ।

সুমন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ওই বন্ধুকে নামিয়ে ফকিরাপুলের দিকে রওয়ানা দিলে সেখানে থাকা অপর দুই পুলিশ সদস্য সাংবাদিকের পরিচয় পত্র দেখতে চাই। সুমন তার পরিচয় পত্রটি বের করার সাথে সাথে এসআই মেহেদী হাসান সুমনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় টহলরত রমনা থানার ২০-২৫জন পুলিশের সদস্য দুইজনকে তাদের পায়ের বুট ও হাতে থাকা বন্দুকের বার দিয়ে বেদড়ক মারধর করতে থাকে।

এরপর সেখানে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা দু`জনকে মারধরের পর টেনে-হিচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে রমনা থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে বিষয়টি কাউকে না জানানোর শর্তে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন মেহেদী।

পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতারা তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। মেডিকেল সেন্টারের কতর্ব্যরত ডাক্তার নূর মুহাম্মদ জানান, দুজনের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং নাজমুলের মাথার একপাশে ফেটে গেছে।

এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সানী দোষী পুলিশদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানায়।

তবে এসআই মেহেদী হাসান সুমন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মটরসাইকেলে করে দুজন যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাদরকে মারধর করলে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এমএম/এআরএস/আরআই