৬ মাসের মধ্যে জাতীয় সম্প্রচার আইন : ইনু
আগামী ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় সম্প্রচার আইন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু’র এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সম্প্রচার আইন প্রণয়নের জন্য অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ৬০ দিনের মধ্যে সম্প্রচার কমিশনের কাঠামো ও কার্যাবলী এবং ৯০ দিনের মধ্যে সম্প্রচার আইনের একটি খসড়া প্রদান করবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সম্প্রচার আইনের খসড়াটি পরবর্তীতে জনসাধারণের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এরপর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এবং সংসদে উত্থাপনের পর তা চূড়ান্ত করা হবে।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. তাজুল ইসলামের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের কিছু টিভি চ্যানেল দেখানো হয়। তবে যাতে ব্যাপক ভিত্তিতে বাংলাদেশি চ্যানেল ভারতে দেখানো হয়, এ ব্যাপারে ভারতের তথ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিতকল্পে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’তে ‘বিজ্ঞাপন নীতিমালা’ শিরোনামে একটি অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে। নীতিমালার আওতায় ‘সম্প্রচার আইন’ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘সম্প্রচার আইন’ প্রণীত হলে ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠিত হবে। ‘সম্প্রচার কমিশন’ প্রচারিত বিষয়বস্তুর মানদণ্ড নির্ধারণ, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়কাল নির্ধারণ নীতিমালা ও আইন বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহে বিজ্ঞাপন প্রচার বেড়ে যাবার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না। টেলিভিশনের প্রতি দর্শকদের বিরূপ মনোভাব ও অনীহা দেখা দিতে পারে এইরূপ সংখ্যক বিজ্ঞাপন জাতীয় গণমাধ্যম হিসাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে কখনোই প্রচার করা হয় না। বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্ধারিত বিজ্ঞাপন নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানমালার চাইতে অনেক কম বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। সরকারি গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠান প্রচার করে না।
মো. শওকত চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশী যেসব চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার করা হয়, এসব চ্যানেলে অনুষ্ঠানের মান সম্প্রচার আইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা ভবিষ্যতে দেখা হবে এবং ওই সব চ্যানেলে প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেকে কিভাবে রাজস্ব আদায় করা যায় তাও খতিয়ে দেখা হবে।
আরএস