ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ১৮ জুন ২০১৬

গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোনো রকমের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নাই। হুমকি ধামকি যতই দেয়া ইউক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, বিচার হবে এবং দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে। তাকে কেন ব্রিটিশ সরকার আদর করে বসিয়ে রেখেছে জানি না। সে সেখানে যাওয়ার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি খুন হয়েছেন, পার্লামেন্ট সাংসদ টিউলিপকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য ফৌজদারী আইন সংশোধন করা হয়েছে। কল্যাণট্রাস্ট গঠন করে দুস্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার জন্য নীতিমালা গঠনের প্রক্রিয়া চলছে তা সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে নয়, বরং একটি সুষ্ঠু নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত হচ্ছে। বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করেছে এটা কাম্য ছিল না।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত জোটের জম্মলগ্ন থেকেই মানুষ হত্যা করার চরিত্র রয়েছে। ৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে গণহত্যায়, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও মেয়েদেরকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।
 
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন কিন্তু জিয়াউর রহমান এসে তা বন্ধ করে দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতা হত্যার বিচার করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি টিউলিপকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয় তোর নানাকে হত্যা করেছি, এখন তোর খালা ও মাসহ তোকে হত্যা করবো। শুধু তাই নয়, এফবিআই অফিসােকে কিনে ফেলে জয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও তাকে হত্যার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
 
তিনি বলেন, চিঠির ভাষা পড়ে মনে পড়েছে কয়েকদিন আগে বিএনপি নেত্রী বলেছিল হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চাই। এর অর্থটা কি? আমাকেও খুন করতে চায়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বলেছিলেন, ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমার নাম ধরে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের  নেত্রীও হতে পারবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদারীপুরে প্রভাষক রিপনকে যে হত্যা করার চেষ্টা করেছে সে একজন শিবির কর্মী। জনগণ হাতেনাতে ধরে ফেলে। গুপ্তহত্যা যে সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে এ ঘটনার পর তার প্রমাণ মেলে।
 
তিনি বলেন, টক শো কখনও সংসদের বিকল্প হতে পারে না। সংসদে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে কথা বলা হলেও টক শোতে অনেকেই লাগামহীন কথাবার্তা বলে থাকেন যা কাম্য নয়। সমালোচনা গঠনমূলক হলে কোন আপত্তি নেই।

বিএফইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান ও ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল হাফেজ মারুফ। ইফতার অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুর রহমান, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, একুশে টেলিভিশনের সিইও ও বিএফইউজে নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম,বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া, ডিইউজে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, শাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহাসহ সিনিয়র অনেক সাংবাদিক  উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এসকেডি

আরও পড়ুন